কোন পণ্ডিত চর্যাপদের পদ্গুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন?
ক) কাহ্নপা
খ) লুই পা
গ) ডাকাবর্ন
ঘ) মুনিদত্ত
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
চর্যাপদের পদগুলো সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষায় রচিত হওয়ায় এর অর্থ সহজে বোঝা যেত না। সংস্কৃত ভাষায় এই পদগুলোর টীকা বা ব্যাখ্যা রচনা করেন মুনিদত্ত। তার টীকার কারণেই চর্যাপদের অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
Related Questions
ক) অভ্র
খ) বীচি
গ) লহরী
ঘ) ঊর্মি
Note : বীচি', 'লহরী', এবং 'ঊর্মি' এই তিনটি শব্দের অর্থ হলো ঢেউ বা তরঙ্গ। কিন্তু 'অভ্র' শব্দের অর্থ হলো মেঘ বা আকাশ। সুতরাং, 'অভ্র' শব্দটি বাকিগুলোর সমার্থক নয়।
ক) খন্ডিত
খ) স্থূল
গ) শ্লথ
ঘ) শুভ্র
Note : ভগ্ন' শব্দের অর্থ ভাঙা বা যা ভেঙে গেছে। প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে 'খন্ডিত' শব্দের অর্থও খণ্ড বা অংশে বিভক্ত, যা 'ভগ্ন'-এর সবচেয়ে কাছের সমার্থক শব্দ।
ক) বিশেষ্য ও বিশেষণ
খ) বিশেষণ ও ক্রিয়া
গ) বিশেষ্য ও বিশেষ্য
ঘ) বিশেষণ ও বিশেষণ
Note : এখানে 'হাঁড়ি' একটি বিশেষ্য পদ এবং তার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে আধিক্য বা বহুবচন বোঝানো হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় 'হাঁড়ি' শব্দটি প্রথম 'হাঁড়ি'র পরিমাণ বা অবস্থা নির্দেশ করায় এটি বিশেষণ রূপে কাজ করছে। তাই এটি বিশেষ্য ও বিশেষণের যোগে বহুবচন। অনেক ব্যাকরণবিদ একে বিশেষ্যের দ্বিরুক্তিও বলেন, কিন্তু প্রায়োগিক দিক থেকে এটিই সবচেয়ে সঠিক ব্যাখ্যা।
ক) কর্তৃবাচ্য
খ) কর্মবাচ্য
গ) ভাববাচ্য
ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
Note : ভাববাচ্যে ক্রিয়ার অর্থই প্রধান হয় এবং কর্তার উল্লেখ থাকে না বা থাকলেও গৌণ হিসেবে থাকে। এখানে 'শোওয়া হয়নি' ক্রিয়াটিই প্রধান এবং কর্তা এখানে প্রধান নয় (কার শোওয়া হয়নি তা উহ্য বা গৌণ)। তাই এটি ভাববাচ্যের উদাহরণ।
ক) দলনেতা
খ) প্রিয়
গ) মানুষ
ঘ) টেবিল
Note : উভয়লিঙ্গ বাচক শব্দ বলতে এমন শব্দ বোঝায় যা দিয়ে পুরুষ ও স্ত্রী উভয়কেই বোঝানো যায়। 'মানুষ' শব্দটি দিয়ে পুরুষ মানুষ ও নারী মানুষ উভয়কেই বোঝায়। 'দলনেতা' পুংলিঙ্গ (স্ত্রীলিঙ্গ: দলনেত্রী), 'প্রিয়' পুংলিঙ্গ (স্ত্রীলিঙ্গ: প্রিয়া) এবং 'টেবিল' ক্লীবলিঙ্গ।
ক) শৈব
খ) সৌর
গ) দৈব
ঘ) চৈত্র
Note : যে সকল শব্দ প্রত্যয়ের সাধারণ নিয়ম অনুসরণ না করে বিশেষ উপায়ে গঠিত হয়, তাদের নিপাতনে সিদ্ধ বলে। 'সূর্য + ষ্ণ = সৌর' শব্দটি এই ধরনের একটি উদাহরণ, কারণ এটি সাধারণ নিয়ম মেনে গঠিত হয়নি। অন্য অপশনগুলো (শিব+ষ্ণ=শৈব, দেব+ষ্ণ=দৈব) প্রত্যয়ের সাধারণ নিয়ম মেনেই গঠিত হয়েছে।
জব সলুশন