বিসর্গ ধ্বনির নিয়মের ব্যতিক্রম কোনটি?
ক) নিঃ + গত = নির্গত
খ) নিঃ + রোগ = নীরোগ
গ) অহঃ + অহ = অহরহ
ঘ) শিরঃ + পীড়া = শিরঃপীড়া
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
অহঃ + অহ = অহরহ' এটি বিসর্গ ধ্বনির ব্যতিক্রমী নিয়ম যেখানে বিসর্গ (ঃ) লুপ্ত হয়ে পূর্ববর্তী স্বর দীর্ঘ হয় এবং র যুক্ত হয়।
Related Questions
ক) উদ্ভব
খ) ভাস্কর
গ) শঙ্কা
ঘ) ভাবুক
Note : ভাস্কর' (ভাঃ + কর) শব্দটি বিসর্গ সন্ধির উদাহরণ। এখানে বিসর্গ (ঃ) রূপান্তরিত হয়ে দন্ত্য-স হয়েছে।
ক) মনো + কষ্ট
খ) মন + কষ্ট
গ) মনোঃ + কষ্ট
ঘ) মনঃ + কষ্ট
Note : মনঃকষ্ট' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো 'মনঃ + কষ্ট'। এটি বিসর্গ সন্ধির একটি উদাহরণ যেখানে বিসর্গ (ঃ) অপরিবর্তিত থাকে।
ক) ম বর্গের পরে ণ হয়
খ) ক বর্ণ এবং ম বর্ণের মাঝে ণ হয়।
গ) ক বর্ণের পূর্বেণ হয়
ঘ) স্বভাবতই ণ হয়
Note : মাণিক্য' শব্দটি এমন কতগুলো শব্দের অন্তর্ভুক্ত যেখানে 'ণ' স্বভাবতই মূর্ধন্য হয় অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে প্রাকৃতিকভাবেই এই বর্ণটি ব্যবহৃত হয়।
ক) নিক্বণ
খ) লবণ
গ) কল্যান
ঘ) ব্যাকরণ
Note : ণ-ত্ব বিধান অনুসারে 'ব্যাকরণ' শব্দে 'ণ' এর ব্যবহার হয়েছে। এখানে 'র' এর পরে স্বভাবতই 'ণ' বসেছে।
ক) বর্ণনা ,সুষমা , লবণ
খ) ব্রাহ্মণ, কষ্ট , পোষাক
গ) ঘণ্টা, দ্বেষ, ক্রন্দণ
ঘ) ভাষণ, গ্রন্থ, জিনিস
Note :
যে বিধি অনুসারে তৎসম শব্দে 'ণ' এর ব্যবহার হয় এবং অতৎসম শব্দে 'ণ' এর ব্যবহার না হয়ে 'ন' এর ব্যবহার হয় , তাকে ণ - ত্ব বিধি বা ণ - ত্ব বিধান বলে এবং তৎসম শব্দের বানানে 'ষ' এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ষ - ত্ব বিধান। ণ - ত্ব বিধানের নিয়মানুযায়ী ,ত বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত 'ন' কখনো 'ণ' হয় না। যেমন - অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন। ষ - ত্ব বিধানের নিয়ম অনুসারে , খাঁটি বাংলা ও বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে 'ষ' হয় না। যেমন - দেশি ,জিনিস, পোশাক, মাস্টার। কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য - ষ হয়। যেমন - আষাঢ়, ভাষা, ভাষণ, ঊষা, পাষাণ ইত্যাদি।
ক) দেশি
খ) বিদেশি
গ) তৎসম
ঘ) খাঁটি বাংলা
Note : ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান বাংলা ব্যাকরণের এমন দুটি নিয়ম যা শুধুমাত্র তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে দন্ত্য-ন এর জায়গায় মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-স এর জায়গায় মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের নিয়মকে বোঝায়।
জব সলুশন