মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটক কোনটি?
বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক, অমিত্রাক্ষর ছন্দের যাদুকর মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটকগুলো হলো - শর্মিষ্ঠা (১৮৫৮), পদ্মবতী (১৮৬০), কৃষ্ণকুমারি (১৮৬১), মায়াকানন (১৮৭৪) প্রভৃতি। অন্যদিকে, ‘ভদ্রার্জুন’ তারাচরণ শিকদার রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক। ‘শকুন্তলা’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান’ শকুন্তলম’ নাটকের বঙ্গানুবাদ এবং ‘রাবণ বধ’ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার রচিত নাটক।
Related Questions
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক শর্মিষ্ঠা। নাটকটি ১৮৫৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় । এটি মধসূদন রচিত ও প্রকাশিত প্রথম বাংলা গ্রন্থ ।
- পদ্মাবতী ১৮৬০ , কৃষ্ণকুমারী ১৮৬১ মধুসূদনের রচিত নাটক ।
- দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নীল দর্পণ নাটকটি ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ ।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের সফল প্রয়োগ ঘটান 'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্যগ্রন্থে। তার রচিত' মেঘনাদবধ কাব্য' বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য এবং 'বীরঙ্গনা' বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম পত্রকাব্য। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত 'বেতালপঞ্চবিংশতি' হিন্দি 'বৈতাল পচ্চীসীর' অনুবাদ' বিদ্যাসাগর এই গ্রন্থে সর্বপ্রথম যতি - চিহ্নের সফল প্রয়োগ করেন।
“বীরাঙ্গনা” কাব্যটি ১৮৬২ সালে রচিত হয়েছিল এবং এটি বাংলা সাহিত্যে প্রথম পত্রকাব্য হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মোট ১১টি পত্র রয়েছে, যা বিভিন্ন নারীর মনোবেদনা, প্রেম, এবং সামাজিক অবিচারের কথা প্রকাশ করে1। মধুসূদন দত্ত এই কাব্যটি রোমান কবি ওভিদের “হিরোয়দস” কাব্যের অনুকরণে রচনা করেছিলেন।
উদ্ধৃত চরণ দুটির কবি হলেন ** মাইকেল মধুসূদন দত্ত**, যা তাঁর বিখ্যাত 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী'র একটি সনেট থেকে নেওয়া হয়েছে, যেখানে তিনি দ্রোণাচার্যের কাছে সেই বিদ্যা চেয়েছেন যা অর্জুনকে রক্ষা করতে পারত।
জব সলুশন