বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি?

ক) নিরঞ্জনের রুস্মা
খ) গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
গ) দোহাকোষ
ঘ) ময়নামতির গান
Note : বাঙালিরা প্রথমে ছিল মূলত বৌদ্ধ। তাই উনিশ শতকে যখন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাঙালির ইতিহাস লেখা শুরু হতে লাগলো, তখন বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস নিয়েও গবেষণা শুরু হয়ে গেল। অনেকেই প্রাচীন বৌদ্ধ গান, দোহা- এসব খুঁজতে শুরু করলো নেপালে- তিব্বতে গিয়ে। এসব গানগুলো ছিল মূলত সংস্কৃত বা তিব্বতী ভাষায় লেখা। সম্ভবত প্রথম এ কাজে নেপাল যান রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম আর বৌদ্ধ সাহিত্যের অনেকগুলো পুঁথিও আবিষ্কার করেন। পরে সেগুলোর একটা তালিকাও প্রকাশ করেন ১৮৮২ সালে। তার এসব কাজ দেখে উৎসাহিত হন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। ১৮৯৭-৯৮ সালে দুবার নেপালে যান তিনি। তৃতীয় এবং শেষবার যান ১৯০৭ সালে। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে তৃতীয়বার নেপাল ভ্রমণকালে তিনি নেপালের রাজদরবারের লাইব্রেরিতে খুঁজে পান চারটি প্রাচীন পুঁথি; ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’, সরোজবজের ‘দোহাকোষ’, কৃষ্ণাচার্যের ‘দোহাকোষ’ আর ‘ডাকার্ণব’।

Related Questions

ক) লুই পা
খ) ভুসুক পা
গ) সরহ পা
ঘ) কাহ্ন পা
Note : চর্যার পুঁথিতে সর্বাধিক সংখ্যক পদের রচয়িতা কাহ্ন বা কাহ্নপাদ। তিনি কৃষ্ণাচার্য, কৃষ্ণপাদ ও কৃষ্ণবজ্র নামেও পরিচিত। পুঁথিতে তাঁর মোট ১১টি পদ (পদ- ৭, ৯, ১১, ১২, ১৮, ১৯, ২৪, ৩৬, ৪০, ৪২ ও ৪৫) পাওয়া যায়। ইনি ওড়িশার এক ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। শৌরসেনী অপভ্রংশ ও মাগধী অপভ্রংশজাত বাংলায় তিনি পদ রচনা করতেন।
ক) কাহ্নপা
খ) লুইপা
গ) কুক্কুরীপা
ঘ) শবরপা
Note : আবিষ্কৃত পুঁথিটিতে ৫০টি চর্যায় মোট ২৪ জন সিদ্ধাচার্যের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন: লুই, কুক্কুরী, বিরুআ, গুণ্ডরী, চাটিল, ভুসুকু, কাহ্ন, কাম্বলাম্বর, ডোম্বী, শান্তি, মহিত্তা, বীণা, সরহ, শবর, আজদেব, ঢেণ্ঢণ, দারিক, ভাদে, তাড়ক, কঙ্কণ, জঅনন্দি, ধাম, তান্তী পা, লাড়ীডোম্বী। এঁদের মধ্যে লাড়ীডোম্বীর পদটি পাওয়া যায়নি। ২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক পদগুলি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিতে না থাকলেও ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী আবিষ্কৃত তিব্বতি অনুবাদে এগুলির রচয়িতার নাম উল্লিখিত হয়েছে যথাক্রমে কাহ্ন, তান্তী পা ও কুক্কুরী।[১১] এই নামগুলির অধিকাংশই তাঁদের ছদ্মনাম এবং ভনিতার শেষে তাঁরা নামের সঙ্গে 'পা' (<পদ) শব্দটি সম্ভ্রমবাচক অর্থে ব্যবহার করতেন। সাধারণভাবে লুইপাদকেই আদি সিদ্ধাচার্য মনে করা হয়। তাঞ্জর বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি মগধের বাসিন্দা ছিলেন ও রাঢ় ও ময়ূরভঞ্জে আজও তাঁর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। চর্যার টীকায় তাঁর অন্য নাম লূয়ীপাদ বা লূয়ীচরণ। ১ ও ২৯ সংখ্যক পদদুটি তাঁর রচিত।
ক) নবদ্বীপের
খ) বৃন্দাবনের
গ) মিথিলার
ঘ) বর্ধমানের
Note : বিদ্যাপতি (আনু. ১৩৭৪-১৪৬০) বৈষ্ণব কবি এবং পদসঙ্গীত ধারার রূপকার। মিথিলার সীতামারী মহকুমার বিসফি গ্রামে এক বিদগ্ধ শৈব ব্রাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁদের পারিবারিক উপাধি ছিল ঠক্কর বা ঠাকুর। তাঁর পিতার নাম গণপতি ঠাকুর। বংশপরম্পরায় তাঁরা মিথিলার রাজপরিবারে উচ্চপদে চাকরি করতেন। বিদ্যাপতি নিজেও মিথিলারাজ দেবসিংহ ও শিবসিংহের সভাসদ ছিলেন। শ্রীহরি মিশ্রের অধীনে বিদ্যাপতি শিক্ষাগ্রহণ করেন। শস্ত্র, শাস্ত্র, রাজনীতি এবং সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁদের পারিবারিক অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক) ৪৬ টি
খ) সাড়ে ৪৬ টি
গ) ৪৯ টি
ঘ) ৫০ টি
Note : মূল পুঁথির পদের সংখ্যা ছিল ৫১
ক) কোনটি চর্যাগান, আর কোনটি নয়
খ) কোনটি আচরণীয়,আর কোনটি নয়
গ) কোনটি চরাচরের, আর কোনটি নয়
ঘ) কোনটি আচার্যের, আর কোনটি নয়
Note : চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামটি দিয়েছেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
ক) অক্ষরবৃত্তে
খ) মাত্রাবৃত্তে
গ) স্বরবৃত্তে
ঘ) কোনটি নয়
Note : চর্যার পদগুলি প্রধানত পয়ার ও ত্রিপদী পদে রচিত। এতে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের প্রভাবও দেখা যায়। ১৬ মাত্রার পাদাকুলক ছন্দের ব্যবহারই এখানে বেশি। তবে সর্বত্র নির্দিষ্ট মাত্রারীতি দেখা যায়নি। ছন্দপংক্তির পর্বসংখ্যাগত বৈচিত্র্যও এই পদগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ডক্টর অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, “তত্ত্বকথার ব্যাখ্যা এবং তাকে ব্রাহ্মণ সমাজের শ্যেনদৃষ্টি থেকে গোপন করা – এই দিকে পদকর্তারা এবং সিদ্ধাচার্যরা অত্যন্ত সচেতন ছিলেন বলে কবিতার আঙ্গিকের দিকে দৃষ্টি দেবার অবকাশ পাননি। তবে একটা কথা সত্য, চর্যাগানেই সর্বপ্রথম পয়ার-ত্রিপদীর আদিসুর ধ্বনিত হয়েছে। সংস্কৃতে রচিত গীতগোবিন্দও এর প্রভাব অস্বীকার করতে পারে

জব সলুশন

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড সহকারী পরিচালক (22-11-2024)

দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (30-11-2024)

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি এর কারিগরি সহায়ক / অফিস সহায়ক (15-11-2024)

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি এর জুনিয়র হিসাব সহকারী (15-11-2024)

সাধারণ বীমা কর্পোরেশন || সহকারী ব্যবস্থাপক (08-11-2024)

সাধারণ বীমা কর্পোরেশন জুনিয়র অফিসার (01-11-2024) 2024

Job Solution Live Exam Recent Job Solution 2025

আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

BCS TARGET Playstore