‘কপোতাক্ষ নদ’ কোন জাতীয় কবিতা?
ক) গদ্য কবিতা
খ) গীতিকবিতা
গ) সনেট
ঘ) পয়ার
Note : মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কপোতাক্ষ নদ সনেট জাতীয় রচনা। সনেট শব্দটি ইতালিয়ান ‘সনেটো’ বা মৃদুধ্বনি শব্দ থেকে সৃষ্ট। এটি একপ্রকার মন্ময় কবিতা। একটিমাত্র অখণ্ড ভাবকল্পনা বা অনুভূতি-কণা যখন চৌদ্দ অক্ষর চর্তুদশ পঙ্ক্তিতে একটি বিশেষ ছন্দরীতিতে আত্মপ্রকাশ করে, তখন তাকে সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা বলা হয়। ইতালিয়ান কবি প্রেত্রার্ক সনেটের জনক হিসেবে খ্যাত। সনেটের প্রথম আট পঙ্ক্তিতে যে ভাবকল্পনার ইঙ্গিত করা হয়, তাকে অষ্টক বলে এবং পরবর্তী যে ছয় পঙ্ক্তি পূর্বোক্ত ভাবকল্পনার বিস্মৃতিসাধন বা ব্যাখ্যা করে, তাকে ষটক বলে।
Related Questions
ক) অতি অল্প হইল
খ) একেই কি বলে সভ্যতা
গ) ফাঁস কাগজ
ঘ) এর উপায় কি
Note : ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি রচনা করেন দুটি প্রহসন, যথা: 'একেই কি বলে সভ্যতা' এবং 'বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ' এবং পূর্ণাঙ্গ 'পদ্মাবতী' নাটক।
ক) পদ্মাবতী
খ) বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
গ) চতুর্দশপদী কবিতাবলী
ঘ) সনেট পঞ্চায়েত
ক) সবুজপত্র
খ) বঙ্গদর্শন
গ) সাহিত্য
ঘ) ভারতী
Note : ‘বড়দিদি’ (১৯১৩) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম মুদ্রিত উপন্যাস। এই উপন্যাসটি সরলা দেবী সম্পাদিত ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশকালে বাংলা সাহিত্যে আলোড়নের সৃষ্টি করে। প্রথমে এর নাম ছিল ‘শিশু’। শরৎ উপন্যাসের প্রধান আকর্ষণ, নারীচরিত্রের সংগম ও মাধুর্য, শাস্ত্রশাসিতত জীবন ও স্বাভাবিক প্রবৃত্তির মধ্যে টানাপোড়েন এবং সহজ সাবলীল ভাষা-সবই এখানে পূর্ণমাত্রায় প্রকাশিত। উল্লেখযোগ্য চরিত্র : সুরেন্দ্রনাথ, ব্রজরাজ, মাধবী, প্রমীলা। বড়দিদি ‘মাধবী’র নাম।
ক) রাজনৈতিক
খ) আত্মজীবনী
গ) স্যাটায়ার
ঘ) সামাজিক
Note : ‘পথের দাবী’ (১৯২৬) রাজনৈতিক উপন্যাস। স্বদেশী বিপ্লবীদের হাতে হাতে থাক। কাহিনর পটভূমিকা ব্রহ্মদেশ। এক গুপ্ত বিপ্লবী দরের নায়ক সব্যসাচী এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। কারো কারো মতে সব্যসাচী চরিত্রে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর ছায়াপাত ঘটেছে। নিঃসন্দেহে এই কাহিনিতে ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা এবং সশস্ত্র বিপ্লবকে আন্তরিক সমর্থন আছে। গ্রন্থটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়্ নান্দনিক মানদ-ে ‘পতের দাবী’ উৎকৃষ্ট সাহিত্য কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সঙগ্রামে এ উপন্যাস উদ্দীপকের ভূমিকা রাখে। ‘আমি বিপ্লবী, ভারতের স্বাধীনতাই আমার একমাত্র কাম্য, আমার একটিমাত্র সাধনা।’ এই ব্যক্তব্য ছিল উপন্যাসের শেষে। ভারতীয় রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এই গ্রন্থ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ‘বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় ১৩২৯-এর ফাল্গুন সংখ্যা থেকে ‘পথের দাবী’ ধারাবাহিকরূপে প্রকাশিত হয়।
ক) গোরা (নাট্যগ্রন্থ)
খ) বিদ্রোহী (কাব্যগ্রন্থ)
গ) পথের দাবী (উপন্যাস)
ঘ) একাত্তরের দিনগুলো (উপন্যাস)
ক) ১৯১৮
খ) ১৯১৬
গ) ১৯১৭
ঘ) ১৯২৮
Note : ‘দেবদাস’ (১৯১৭) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস। ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। সামাজিক প্রতিবন্ধকতায় দেবদাস তার বাল্যপ্রণয়ী পার্বতীকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়্ সেই ব্যর্থতায় নিজেকে বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়। সেই ব্যর্থতায় নিজেকে তিলে তিলে ক্ষয় করার বেদনাময় কাহিনি। এই উপন্যাস সমস্ত ভারতবর্ষে জনপ্রিয় হয়। দেবদাস ও পাবর্তী আধুনিক ভারতীয় জীবনে ব্যর্থ প্রেমিক-প্রেমিকার রূপকে পরিণত করেছে। বাংলায় বহুবার এর চলচ্চিত্রায়ন হয়েছে। ২০০৪ সালে হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রায়িত হয়ে বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগায়। এর পরিচালক ছিরেন সঞ্জয় লীলা বংশালী। উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র : দেবদাস, পার্বতী (পারু), চন্দ্রমুখী, চুনিলাল, ধর্মদাস।
জব সলুশন