চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রাচীন নাম --
ক) রাঢ়
খ) বঙ্গ
গ) হরিকেল
ঘ) পুণ্ড্র
Note : প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ। বর্তমান চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ত্রিপুরার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা হরিকলের অংশ ছিল বলে অনুমান করা হয়। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রাচীন ভারতীয় লেখকগণ পূর্বভারতীয় প্রান্তীয় অংশ অবস্থিত জনপদকে হরিকেলের নামে উল্লেখ করেছেন।
Related Questions
ক) ময়নামতি ও লালমাই পাহার
খ) মধুপুর ও ভাওয়াল গর
গ) সুন্দরবন
ঘ) রাজশাহী বিভাগের উত্তর-পশ্চিমাংশ
Note : বরেন্দ্রভূমি (Barind Tract) বঙ্গ অববাহিকার বৃহত্তম প্লাইসটোসিন ভূ-প্রাকৃতিক একক। প্রায় ৭,৭৭০ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বরেন্দ্রভূমি বিস্তৃত। চতুষ্পার্শেতর প্লাবনভূমি থেকে পৃথক এই ভূ-প্রকৃতি পুরাতন পলল গঠিত একটি ভূমিরূপ হিসেবে দীর্ঘ সময় থেকেই স্বীকৃত। বরেন্দ্রভূমির ভৌগোলিক অবস্থান মোটামুটি ২৪°২০´ উত্তর অংক্ষাংশ থেকে ২৫°৩৫´ উত্তর অংক্ষাংশ পর্যন্ত এবং ৮৮°২০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯°৩০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূ-প্রাকৃতিক এই একক পূর্বে করতোয়া নদী দ্বারা, পশ্চিমে মহানন্দা নদী দ্বারা এবং দক্ষিণে গঙ্গা নদীর উত্তর পাড় দ্বারা সীমাবদ্ধ। বরেন্দ্রভূমির পূর্ব প্রান্তে একটি চ্যুতির অবস্থান সুস্পষ্ট এবং চ্যুতিখাদ বরাবর ছোট যমুনা, আত্রাই এবং পুনর্ভবা নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এই ভূ-প্রাকৃতিক এককের পশ্চিমাংশ আনত এবং পশ্চিম প্রান্তের অংশবিশেষ অবশিষ্ট ভূ-ভাগ এবং পার্শ্ববর্তী মহানন্দা প্লাবনভূমি থেকে ১৫ মিটারেরও অধিক উঁচু। বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, রাজশাহী ও বগুড়া জেলা জুড়ে বরেন্দ্রভূমি বিস্তৃত।
ক) বগুড়া ও দিনাজপুর অঞ্চল
খ) কুমিল্লা ও নোয়াখালি অঞ্চল
গ) ঢাকা ও ময়মনসিংহ
ঘ) বৃহত্তম সিলেট অঞ্চল
Note : মেঘনা পূর্ববর্তী এলাকায় কুমিল্লা-নোয়াখালীর সমতল অঞ্চলে ছিল সমতটের অবস্থান। পূর্বদিকে সংলগ্ন ত্রিপুরার পাহাড়ি অঞ্চল (সমতটের অটবি-খন্ড বিভাগ)এবং দক্ষিণে মেঘনার মোহনায় দ্বীপাঞ্চলও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। মোটামুটিভাবে উত্তরে সিলেট সীমান্তের পর্বত ও হাওর থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এবং পূর্বদিকে ত্রিপুরা ও আরাকানের পাহাড়ি উঁচুভূমি থেকে পশ্চিমে মেঘনা (পদ্মা-মেঘনা-ব্রহ্মপুত্রের সম্মিলিত স্রোতধারা) পর্যন্ত এর বিস্তৃতি।
ক) সমতট
খ) পুন্দ্র
গ) বঙ্গ
ঘ) হরিকেল
Note : বঙ্গ একটি অতি প্রাচীন জনপদ। অতি প্রাচীন পুঁথিতে একে মগধ ও কলিঙ্গজনপদের প্রতিবেশী বলা হয়েছে। মহাভারতের উল্লেখ হতে বুঝা যায় যে, বঙ্গ, পুন্ড, তামলিপ্ত ও সুহ্মের সংলগ দেশ। চন্দগুপ্ত, বিক্রমাদিত্য, চালুক্যরাজা ও রাষ্টকূটদের শিলালিপি এবং কালিদাসের গ্রন্থে এ জনপদের বর্ণনা পাওয়াযায়। বর্তমান বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গ নামে একটি জনপদগড়ে উঠেছিল। অনুমান করা হয়, এখানে ‘বঙ্গ’ নামে এক জাতি বাস করত। তাই জনপদটি পরিচিত হয় ‘বঙ্গ’ নামে। সাক্ষ্য প্রমাণ থেকে মনে হয়, গঙ্গা ও ভাগিরথীর মাঝখানের অঞ্চলকেই বঙ্গ বলা হতো। পাল ও সেন বংশীয় রাজাদের আমলেবঙ্গের আয়তন সঙ্কচিত হয়ে পড়ে। একাদশ শতকে পাল বংশের শেষ পর্যায়ে বঙ্গজনপদ দুভাগে বিভক্ত হয়ে উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গ নামে পরিচিত হয়। পদ্মাছিল উত্তরাঞ্চলের উত্তর সীমা, দক্ষিণের বদ্বীপ অঞ্চল ছিল দক্ষিণ বঙ্গ।পরবর্তীকালে কেশব সেন ও বিশরূপ সেনের আমলেও বঙ্গের দুটি ভাগ পরিলক্ষিত হয়।তবে এবার নাম আলাদ একটি ‘বিক্রমপুর’ ও অপরটি ‘নাব্য’। প্রাচীন শিলালিপিতে ‘বিক্রমপুর’ ও ‘নাব্য’ না
ক) গিয়াসউদ্দীন আযম শাহ
খ) আলাউদ্দীন হুসেন শাহ
গ) ফখরুদ্দীন মোবারক শাহ
ঘ) ইলিয়াস শাহ
ক) ফকরুদ্দিন মুবারক শাহ
খ) শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ
গ) আকবর
ঘ) ঈশা খান
Note : শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এর সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে ওঠে বাঙ্গালাহ নামে পরিচিত হয়।
জব সলুশন