বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
খ) জেনারেল এম.এ জি ওসমানী
গ) কর্নেল শফিউল্লাহ
ঘ) মেজর জিয়াউর রহমান
Note : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক--বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ∎বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি--বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ∎বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক --বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ∎তিনি স্বধীনতার ঘোষণা দেন--১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে (ওয়ারলেসের মাধ্যমে), তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ∎হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হন-- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।(২০০৪ সালে বিবিসি'র বাংলা রেডিও জরিপে)
Related Questions
ক) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন
খ) শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের জন্মদিন
গ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস
ঘ) মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যু দিবস
ক) ডব্লিউ. এইচ. অডারল্যান্ড
খ) গিনেসবার্গ
গ) রবি শংকর
ঘ) জর্জ হারিসন
Note : ১৯৭১ সালের ১৯ই ডিসেম্বর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে বিজয় সুচনা হয় । হানাদারদের হটিয়ে দেয় মুক্তি সেনারা । বাংলাদেশের স্বাধীনতাটায় যতজন বিদেশি মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ডব্লিউ এইচ ওডারল্যান্ড যিনি বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা । যিনি সরাসরি যুদ্ধ করেছেন পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে ।১৯১৭ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে জন্ম এই বিদেশি যোদ্ধার । বাটা জুতা কোম্পানী’র চাকুরি ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। সেই বাটা সু কোম্পানী’র প্রোডাকশান ম্যানেজারের চাকুরি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ১৯৭০ সালে। অল্প কয়েকদিনপর জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পান।১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকেছেন ওডারল্যান্ড। চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন অস্ট্রেলিয়া’র পার্থ নগরীতে। ১৮ই মে ২০০১ সালে মৃত্যবরন করেন এই যোদ্ধা । তিনি তার একমাত্র মেয়েকে বলেছিলেন " Bangladesh Mon amor"- বাংলাদেশ আমার ভালোবাসা।
ক) জর্জ হারিসন
খ) রবি শংকর
গ) গিনেসবার্গ
ঘ) ইউকে চিং
Note : ইপিআর-এর একজন সদস্য হিসাবে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৬ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। উক্য চিং ১৯৫২ সালে ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলস্ (ইপিআর)-এ যোগ দেন এবং ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নায়েক হিসেবে রংপুর জেলার হাতিবান্ধা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি সেই বিওপিতে কর্মরত ১ বিহারি কর্মকর্তা ও ২ পাঞ্জাবি সৈন্যকে হত্যা করে ফাঁড়ির অবশিষ্ট ৯ বাঙালি ইপিআর সৈনিককে নিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীসংলগ্ন চৌধুরীহাটের যুদ্ধের ঘটনাটি ছিল খুব ভয়াবহ সেখানে মুক্তিবাহিনীর লেফটেন্যান্ট সামাদসহ আশফাকুস সামাদ, বীর উত্তম তাঁর আরও কয়েকজন সহযোদ্ধা শহীদ হন। তিনিও মারা যেতে বা আহত হতে পারতেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জের অন্তর্গত চৌধুরীহাট। সীমান্তবর্তী এলাকা। নভেম্বরের মাঝামাঝি একদল মুক্তিযোদ্ধা রায়গঞ্জে অবস্থান নেন। তাঁরা কয়েকটি দলে বিভক্ত ছিলেন। একটি দলে ছিলেন ইউ কে চিং। সেখানে ছিল পাকিস্তানি সেনাদের একটি শক্ত অবস্থান। রাতে তাঁরা পাকিস্তানিদের অবস্থানে আক্রমণ করেন। সারা রাত যুদ্ধ চলে।
ক) এক রাজনৈতিক মতবাদের
খ) এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের
গ) এক নতুন জাতীয় চেতনার
ঘ) এক নতুন সমাজ ব্যবস্থার
ক) ১২ অক্টোবর ১৯৭২
খ) ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
গ) ২৬ মার্চ ১৯৭৩
ঘ) ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৩
Note : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিেখ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহিত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর বা বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজী ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রুপ অনুসরণীয় হবে।সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।একই বছরের ১৭ই এপ্রিল থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহবান করা হয়। সংগ্রহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১২ই অক্টোবর, ১৯৭২ তারিখে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন সংবিধান বিল গণপরিষদে উত্থাপন করেন। এরপর ৪ঠা নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বিলটি পাস হয় এবং আইনে পরিণত হয়।
জব সলুশন