স্বরান্ত অক্ষরকে কী বলে?
স্বরান্ত অক্ষরকে মুক্তাক্ষর বলা হয়। যেসব অক্ষর স্বরধ্বনিজাত অথবা অক্ষরের শেষে একটি স্বরধ্বনি থাকে, তাকে স্বরান্ত অক্ষর বা মুক্তাক্ষর বলে। মুক্তাক্ষর উচ্চারণের শেষে মুখ খোলা থাকে, ফলে অক্ষর উচ্চারণ করেও তাকে প্রয়োজনমতো প্রলম্বিত করা যায়।
যেসব অক্ষর স্বরধ্বনিজাত বা অক্ষরের শেষে একটি স্বরধ্বনি থাকে, তাকে স্বরান্ত অক্ষর বা মুক্তাক্ষর বলে। যেমন, ‘দা’> দ-আ; ‘অ’> অ; ‘কা’> ক-আ ইত্যাদি
Related Questions
মানুষ মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে কথা বলে তার মূলে আছে কতকগুলো ধ্বনি।
-ড. হায়াৎ মামুদ ‘ভাষা-শিক্ষা’ গ্রন্থে বলেন, ‘মনের ভাব প্রকাশের জন্য মুখ থেকে যে আওয়াজ বা শব্দ বের হয় তাকে ধ্বনি বলে। তবে, ব্যাকরণে শুধু মানুষের মুখনিঃসৃত অর্থবোধক আওয়াজকে ধ্বনি বলে।
-অর্থাৎ অর্থবোধক ধ্বনির সমষ্টিই ভাষার প্রধান উপাদান। কিন্তু ধ্বনি দৃশ্যমান নয়, ধ্বনি উচ্চারণীয় ও শ্রবণীয়। একজন বলে অন্যজন শোনে। সেই ধ্বনিকে, আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে, বাধ্বনিকে একটা দৃশ্যরূপ দেওয়ার জন্যই বর্ণের সৃষ্টি হয়েছে।'
-ড. মুহম্মদ আবদুল হাই ‘তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা' গ্রন্থে বলেন, 'মানুষের সঙ্গে মানুষের সামাজিকতা বজায় রাখতে হলে তার প্রধান উপায় কথা বলা, মুখ খোলা, আওয়াজ করা। সে আওয়াজ বা ধ্বনিগুলোর একমাত্র শর্ত হচ্ছে যে, সেগুলো অর্থবোধক হওয়া চাই।’
-‘অর্থবোধকতা’ প্রসঙ্গে ড. মুহম্মদ আবদুল হাই ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব' গ্রন্থে বলেন, ‘অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাধ্বনি।' মানুষের বাক-প্রত্যঙ্গ অর্থাৎ কণ্ঠনালী, মুখবিবর, জিহ্বা, আল-জিহ্বা, নাসিকা, কোমল তালু, শক্ত তালু, দাঁত, মাড়ি, চোয়াল, ঠোঁট ইত্যাদির সাহায্যে উচ্চারিত আওয়াজকে ধ্বনি বলে।
জব সলুশন