কবি 'সংসার সমরাঙ্গন' বলতে কী বুঝিয়েছেন?
Related Questions
» কায়কোবাদের " মহাশ্মশান" মহাকাব্য ১৯০৫সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।সমগ্র কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত। কাব্যটি ধারাবাহিকভাবে মহম্মদ রওশন আলী সম্পাদিত 'কোহিনূর ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে কাব্যটি রচিত ।
» ছাত্রজীবন থেকেই নবীনচন্দ্র কবিতা রচনা শুরু করেন। প্যারীচরণ সরকার সম্পাদিত এডুকেশন গেজেটে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হতো। ১৮৭৫ সালে তাঁর পলাশীর যুদ্ধ মহাকাব্য প্রকাশিত হলে তিনি ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন।
» মাইকেল মধুসূদন দত্তের পর বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় মহাকাব্য রচয়িতা হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। তার শ্রেষ্ঠ রচনা - বৃত্রসংহার যা মহাভারতের কাহিনী অবলম্বন করে রচিত এবং দুইখন্ডের প্রথমটি ১৮৭৫ ও দ্বিতীয়টি ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত।
» বিহারীলাল চক্রবর্তী আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের ধারায় অন্যতম প্রধান কবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘ভোরের পাখি’ বলে
বাংলা গীতিকবিতার জনক বলা হয় বিহারীলাল চক্রবর্তীকে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ছোট গল্পের জনক।
ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের জনক।
প্যারীচাঁদ মিত্রকে বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ বলা হয়।
ঢাকা প্রকাশ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালের ৭ মার্চ বাবুবাজারের ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ থেকে। পত্রিকার শিরোনামের নিচে একটি সংস্কৃত শ্লোকাংশ ‘সিদ্ধিঃ সাধ্যে সমামস্ত্ত’ (সাধ্য অনুযায়ী সিদ্ধিলাভ হোক) মুদ্রিত হতো। প্রতি সপ্তাহে গুরুবার অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তা বের হতো। ডাকমাশুলসহ পত্রিকার বার্ষিক মূল্য ছিল ৫ টাকা। ঢাকা প্রকাশের প্রথম সম্পাদক ছিলেন কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। পরিচালকগণের মধ্যে প্রধান ছিলেন ব্রজসুন্দর মিত্র, দীনবন্ধু মৌলিক, ঈশ্বরচন্দ্র বসু, চন্দ্রকান্ত বসু প্রমুখ। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের পর দীননাথ সেনের পরিচালনায় পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এ সময় বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবারে পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে। চতুর্থ বর্ষের ২৩ থেকে ৩৬ সংখ্যা পর্যন্ত দীননাথ পরিচালনা করেন। পরে সে ভার অর্পিত হয় জগন্নাথ অগ্নিহোত্রী ও গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের ওপর। পঞ্চম বর্ষ থেকে শুক্রবারের বদলে ঢাকা প্রকাশ রোববারে প্রকাশিত হতে শুরু করে।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ' পদ্মিনী উপাখ্যান ' কাব্যের ' স্বাধীনতা - হীনতায় কে বাঁচিতে চায়' স্তবকটি দেশাত্মবোধের এক শাশ্বত বাণী বিশেষ। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ - পদ্মিনী উপাখ্যান, কর্মদেবী, শূরসুন্দরী, নীতি কুসুমাঞ্জলি ও কাঞ্চী কাবেরী।
মদনমোহন তর্কালঙ্কার প্রণীত গ্রন্থাবলী:
মদনমোহন তর্কালঙ্কার বাংলা ভাষায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য যথেষ্ট শ্রম ব্যয় করেন। তাঁর রচিত শিশুশিক্ষা গ্রন্থটি ঈশ্বরচন্দ্র কর্তৃক রচিত "বর্ণপরিচয়" গ্রন্থটিরও পূর্বে প্রকাশিত। তিনি 'শিশুশিক্ষা' পুস্তকটির 'প্রথম ভাগ' ১৮৪৯ সালে এবং 'দ্বিতীয় ভাগ' ১৮৫০ সালে প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে পুস্তকটির 'তৃতীয় ভাগ' এবং 'বোধোদয়' শিরোনামে 'চতুর্থ ভাগ' প্রকাশিত হয়। 'বাসব দত্তা' ও 'রসতরঙ্গিনী' নামে তাঁর দুটি গ্রন্থ ছাত্রাবস্থায় রচিত হয়।
তাঁর রচিত 'আমার পণ' কবিতাটি বাংলাদেশে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা পাঠ্যবইয়ের অন্যতম একটি পদ্য এবং শিশু মানস গঠনের জন্য চমৎকার দিক - নির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত। তাঁর বিখ্যাত কিছু পংক্তির মধ্যে রয়েছে: ‘পাখী সব করে রব, রাতি পোহাইল’; ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি, সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি’; ‘লেখাপড়া করে যে/ গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’।
তিনি ১৪টি সংস্কৃত বই সম্পাদনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে:
রসতরঙ্গিণী (১৮৩৪)
বাসবদত্তা (১৮৩৬)
শিশু শিক্ষা - তিন খণ্ড (১৮৪৯ ও ১৮৫৩)
জব সলুশন