অলৌকিক ইস্টিমার' গ্রন্থের রচয়িতা কে ?
কবি ও প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের (১৯৪৭ - ২০০৪) প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অলৌকিক ইস্টিমার' (১৯৭৩) । এ কাব্যগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা : স্নানের জন্যে জল দাও বাতাস, আত্মহত্যার অস্ত্রাবলি, জ্যোৎস্নার অত্যাচার। তার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : জ্বলো চিতাবাঘ, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু। অন্যদিকে হেলাল হাফিজের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ: যে জলে আগুন জ্বলে । আসাদ চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: তবক দেওয়া পান, বিত্ত নাই বেসাত নাই, জলের মধ্যে লেখাজোখা , নদী বিবস্ত্র হয় । রফিক আজাদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ: অসম্ভবের পায়ে, এক জীবনে , প্রেমের কবিতা, প্রিয় শাড়িগুলি।
Related Questions
আহমদ ছফা একজন বাংলাদেশি লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও গণবুদ্ধিজীবী ছিলেন। ওঙ্কার তার বিখ্যাত উপন্যাস। জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও সলিমুল্লাহ খানসহ আরো অনেকের মতে, মীর মশাররফ হোসেন ও কাজী নজরুল ইসলামের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান লেখক হলেন আহমদ ছফা। তার লেখায় বাংলাদেশি জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে।
"যদ্যপি আমার গুরু" বাংলাদেশের অগ্রণী চিন্তাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা বিরচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ। দীর্ঘ স্মৃতিচারণামূলক রচনাটি ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বই আকারে প্রকাশের আগে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রায় চার মাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তি জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাথে লেখকের বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনসমূহের বিবরণ পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। ছফা অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মনীষা এবং চারিত্র্য প্রাঞ্জল ভাষায় ও সুচারু শৈলীতে চিত্রায়িত করেছেন। রাজ্জাকের মুখনিঃসৃত সংলাপ যতদূর সম্ভব তিনি যে ধরনের ঢাকাইয়া বুলিতে কথা বলতেন সে বুলিতেই তুলে ধরেছেন ছফা। গ্রন্থটিকে ছফার গুরুদক্ষিণা বলা হয়।
জব সলুশন