কোনটি ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়?
ভাষার মূল উপাদান ধ্বনি। ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা। মানুষের কন্ঠ নিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠন কে ভাষা বলে। গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদি বাক প্রত্যঙ্গকে বাকযন্ত্র বলে। ইশারা বা অঙ্গভঙ্গির সাহাযে মনের ভাব সম্পুর্ণ রূপে প্রকাশ পাই না। তাই এটি ভাষার অন্তর্ভুক্ত নয়।
Related Questions
বাগযন্ত্র বা বাকপ্রত্যঙ্গ দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে।
-ভাষা ভাবের বাহন।
-ভাষা সম্পর্কে ভাষা-চিন্তক ড. সুকুমার সেন ‘ভাষার ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে বলেন, ‘ভাষার মধ্য দিয়া আদিম মানুষের সামাজিক প্রবৃত্তির প্রথম অঙ্কুর প্রকাশ পাইয়াছিল। ভাষার মধ্য দিয়াই সেই সামাজিক প্রবৃত্তি নানাদিকে নানাভাবে প্রসারিত হইয়া আদিম নরকে পশুত্বের অন্ধজড়তা হইতে উদ্ধার করিয়া তাহাকে মননশীল করিয়াছে। ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।
-তাঁর রচিত ‘ভাষার ইতিবৃত্ত’ বাংলা ভাষাতত্ত্বের একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা গ্রন্থ।
-সুকুমার সেন রচিত অন্যান্য গ্রন্থ: ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’, ‘বঙ্গভূমিকা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যে গদ্য', 'দিনের পর দিন যে গেল’ (আত্মজীবনী)।
-ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত ভাষা বিষয়ক গ্রন্থ ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত' (১৯৬৫);
-সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় রচিত ভাষা বিষয়ক গ্রন্থ The Origin and Development of the Bengali Language ( ODBL);
-মুহম্মদ এনামুল হক রচিত গ্রন্থ ‘ব্যাকরণ মঞ্জরী' (১৯৫২)।
জব সলুশন