শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে বলা হয়-
Related Questions
শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ হলো ধ্বনি। ধ্বনির প্রতীককে বা হয় বর্ণ। কতগুলো ধ্বনি একত্রিত হয়ে বর্ণ তৈরি হয়। যেমন: ক্+অ = ক। এক বা একাধিক ধ্বনি বা বর্ণ মিলে কোন অর্থ প্রকাশ করলে তাকে শব্দ বলে। যেমন: ক+ল+ম = কলম
প্রতিটি ভাষারই কতগুলো মৌলিক অংশ থাকে,তন্মধ্যে ধ্বনি, শব্দ,বাক্য অন্যতম। মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠনকে ধ্বনি বলে। আর ধ্বনিকে লিখে প্রকাশ করার জন্য যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে বর্ণ বলে।আর দুই বা ততোধিক বর্ণ পাশাপাশি বসে মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করলে তাকে শব্দ বলে।আবার,দুই বা ততোধিক শব্দ পাশাপাশি বসে একটি সার্থক বাক্য গঠন করলে মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করলে,তাকে ভাষা বলে।
এইজন্য যে কোন ভাষার জন্য ধ্বনি, শব্দ,বাক্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভাষার অভ্যন্তরীণ নিয়ম শৃঙ্খলার আবিষ্কারের নামই - - - - ব্যাকরণ।
ভাষাবিজ্ঞান বা শাস্ত্রে হলো ব্যাকরণ । ব্যাকরণ শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হলো " বিশ্লেষণ"( বি + আ + ক্রি + অন) বিশেষ এবং সম্যকরূপে বিশ্লেষণ। যে শাস্ত্র পাঠ করলে শুদ্ধভাবে ভাষা লিখতে পড়তে ও বলতে পারা যায় তাকে ব্যাকরণ বলে।
ভাষার সংজ্ঞা প্রসঙ্গে নানান সাহিত্যিক নানান মতামত লক্ষ্য করা যায় তবে যে সমস্ত মতামতগুলি গ্রহণযোগ্য তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল -
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে যে শাস্ত্রে কোন ভাষাকে বিশ্লেষণ করে তার স্বরূপ আকৃতি ও প্রয়োগের নীতি বুঝিয়ে দেওয়া হয়' সেই শাস্থ্যকে বলে সেই ভাষার ব্যাকরণ ।
জব সলুশন