'তার যেন সেখানে যাওয়া হয়' বাক্যটি কোন বাচ্য?
ক) কর্তৃবাচ্য
খ) কর্মবাচ্য
গ) ভাববাচ্য
ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
এই বাক্যে 'যাওয়া' ক্রিয়ার ভাবটি প্রধান। এখানে কর্তা 'সে' (তার) অপ্রধান এবং বাক্যটি একটি আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে। যখন ক্রিয়ার ভাবই মুখ্য হয় এবং কর্তা গৌণ থাকে, তখন তাকে ভাববাচ্য বলে।
Related Questions
ক) এখন যাওয়া যায়
খ) বসন্তে কোকিল ডাকে
গ) বইটি পড়া হয়েছে
ঘ) আমি অপেক্ষা করব
Note : 'এখন যাওয়া যায়' বাক্যটিতে 'যাওয়া' ক্রিয়ার ভাবই প্রধান এবং কর্তা এখানে নির্দিষ্ট নয়। এটি ভাববাচ্যের একটি আদর্শ উদাহরণ। 'বসন্তে কোকিল ডাকে' এবং 'আমি অপেক্ষা করব' কর্তৃবাচ্য, আর 'বইটি পড়া হয়েছে' কর্মবাচ্য।
ক) আমি ভাত খেয়েছি
খ) আমার ভাত খাওয়া হয়েছে
গ) আমাকে ভাত দেওয়া হয়নি
ঘ) তোরা সব ভাতের যোগাড় কর
Note : ভাববাচ্যে ক্রিয়ার অর্থই প্রধান। 'আমাকে ভাত দেওয়া হয়নি'—এই বাক্যে 'দেওয়া' ক্রিয়ার ভাবটিই মুখ্য। এখানে কর্তা (কে দেয়নি) উহ্য এবং কর্ম (ভাত) থাকলেও ক্রিয়ার প্রাধান্য থাকায় এটি ভাববাচ্যের উদাহরণ। অন্য বাক্যগুলো কর্তৃবাচ্য ও কর্মবাচ্যের।
ক) কর্ম-কর্তৃবাচ্য
খ) কর্মবাচ্য
গ) ভাববাচ্য
ঘ) কর্তৃবাচ্য
Note : প্রশ্নোক্ত সংজ্ঞাটি ভাববাচ্যের। ভাববাচ্যে কোনো কর্ম থাকে না এবং ক্রিয়ার ভাবই মূল বিষয়। কর্তা অপ্রধান হয় এবং ক্রিয়াটি সর্বদা নাম পুরুষের রূপে থাকে। যেমন: 'আমার যাওয়া হবে না'।
ক) তা, আপনার কী করা হয়
খ) দূর থেকে পাহাড় নিচু মনে হয়
গ) কেমন শীত শীত করছে
ঘ) আসামিকে জরিমানা করা হয়েছে
Note : কর্মবাচ্য হলো সেই বাক্য যেখানে কর্ম বা object প্রধান হয় এবং ক্রিয়াপদ তাকেই অনুসরণ করে। 'আসামিকে জরিমানা করা হয়েছে'—এই বাক্যে 'জরিমানা' হলো কর্ম এবং সেটিই প্রধান। কর্তা এখানে উহ্য আছে। অন্য অপশনগুলো ভাববাচ্য বা কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।
ক) দ্বিতীয়া
খ) ষষ্ঠী
গ) তৃতীয়া
ঘ) প্রথমা
Note : কর্মবাচ্যে বাক্যের কর্তা সাধারণত অপ্রধান থাকে এবং তার সাথে 'দ্বারা', 'দিয়া', 'কর্তৃক' ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়, যা তৃতীয়া বিভক্তি নির্দেশ করে। তবে আধুনিক বাংলায় কর্তার সাথে ষষ্ঠী বিভক্তি (যেমন: -র, -এর) ব্যবহার করে কর্মবাচ্য গঠন করা বহুল প্রচলিত। যেমন: 'আমার বই পড়া হয়েছে।' এখানে 'আমার' পদে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়েছে। তাই উত্তরটি সঠিক।
ক) ৩ প্রকার
খ) ৪ প্রকার
গ) ৫ প্রকার
ঘ) ৬ প্রকার
Note : বাংলা ব্যাকরণে বাচ্য বা বাক্যের প্রকাশভঙ্গি প্রধানত তিন প্রকার: ১. কর্তৃবাচ্য (Active Voice), ২. কর্মবাচ্য (Passive Voice), এবং ৩. ভাববাচ্য (Impersonal Voice)। কর্মকর্তৃবাচ্যকে অনেকে একটি আলাদা প্রকার হিসেবে গণ্য করলেও, এটি মূলত কর্মবাচ্যেরই একটি রূপ। তাই প্রধান প্রকার তিনটি।
জব সলুশন