'জীবনপ্রদীপ' শব্দের সঠিক ব্যাসবাক্য হল-
ক) জীবন ও প্রদীপ
খ) জীবন আশ্রিত প্রদীপ
গ) জীবন রূপ প্রদীপ
ঘ) জীবনের প্রদীপ
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
'জীবনপ্রদীপ' একটি রূপক কর্মধারয় সমাস, যার সঠিক ব্যাসবাক্য 'জীবন রূপ প্রদীপ'।
Related Questions
ক) পূর্বপদ
খ) উত্তরপদ
গ) পরপদ
ঘ) দক্ষিণ পদ
Note : সমাসবদ্ধ পদের দুটি প্রধান অংশ থাকে। প্রথম অংশটিকে 'পূর্বপদ' এবং দ্বিতীয় বা শেষ অংশটিকে 'উত্তরপদ' বা 'পরপদ' বলা হয়। 'দক্ষিণ পদ' ব্যাকরণের কোনো পরিভাষা নয়।
ক) ব্যাসবাক্য
খ) সমস্যমান পদ
গ) সমাসবাক্য
ঘ) সমস্ত পদ
Note : সমাসের প্রক্রিয়ায় যে পদগুলো অংশ নেয় এবং মিলিত হয়, তাদের প্রত্যেকটিকে ‘সমস্যমান পদ’ বলা হয়। যেমন: 'রাজার পুত্র = রাজপুত্র' এখানে 'রাজার' এবং 'পুত্র' হলো সমস্যমান পদ।
ক) সমস্যমান
খ) সমস্ত পদ
গ) ব্যাসবাক্য
ঘ) বিগ্রহবাক্য
Note : সমাসের প্রক্রিয়ায় একাধিক পদ মিলিত হয়ে যে নতুন পদটি তৈরি হয়, তাকে 'সমস্ত পদ' বা 'সমাসবদ্ধ পদ' বলে। 'সমস্যমান পদ' হলো সমাসে অংশগ্রহণকারী পদগুলো।
ক) নয়-ছয়
খ) খাসজমি
গ) কনকচাঁপা
ঘ) ত্রিফলা
Note : 'নয়-ছয়' একটি সংখ্যাবাচক দ্বন্দ্ব সমাস (ব্যাসবাক্য: নয় ও ছয়), যা বিশৃঙ্খলা অর্থ প্রকাশ করে। অন্যগুলো কর্মধারয় বা দ্বিগু সমাসের উদাহরণ।
ক) রবি-শশী
খ) অহি-নকুল ত্রিফলা
গ) খাওয়া-পরা
ঘ) ধনী-দরিদ্র
Note : 'ধনী-দরিদ্র' (ধনী ও দরিদ্র) বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ। অন্যগুলো সমার্থক বা ভিন্নার্থক দ্বন্দ্বের উদাহরণ।
ক) আরবি
খ) ফারসি
গ) ইংরেজি
ঘ) সংস্কৃত
Note : বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সমাস। এর উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে। তাই সমাসের রীতিকে সংস্কৃত ভাষার অবদান হিসেবে গণ্য করা হয়।
জব সলুশন