প্রাচীনতম বাঙ্গালী মুসলমান কবি কে?
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর। তিনি আনুমানিক ১৩ - ১৪ শতকের কবি। বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে তিনি প্রাচীনতম। তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের রাজত্বকালে "ইউসুফ জোলেখা " কাব্য রচনা করেন। কবি ছিলেন গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের রাজ - কর্মচারী।
Related Questions
মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ। তিনি ছিলেন ইসলামী আদর্শের উজ্জ্বল প্রতীক। 'সাতসাগরের মাঝি' (১৯৪৪) তার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। তার রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ 'পাখির বাসা' (১৯৬৫) - এর জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো পুরষ্কার লাভ করেন। 'হাতেমতায়ী' তার রচিত কাহিনী কাব্য। ১৯৬৬ সালে ' হাতেমতায়ী' গ্রন্থের জন্য তিনি আদমজী পুরষ্কার লাভ করেন। আর ' নৌফেল ও হাতেম' (১৯৬১) তার কাব্যনাট্যের নাম।
- রামমোহন রায়, অথবা রাজা রাম মোহন রায় লেখা হয় রাজা রামমোহন রায় (মে ২২, ১৭৭২ – সেপ্টেম্বর ২৭, ১৮৩৩) প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক।
- তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য।
- রামমোহন রায় কলকাতায় আগস্ট ২০, ১৮২৮ সালে ইংল্যান্ড যাত্রার আগে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহিত ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন।
- পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসাবে কাজ করে।
- সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
- দাপ্তরিক কাজ, সাহিত্য রচনা ও জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনে লেখ্য বাংলা ভাষায় সাধু রীতির জন্ম হয়।
- এ রীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের প্রাধান্য বেশি।
- উনিশ শতকের শুরুতে সাধু রীতির বিকাশ ঘটে।
- বাংলা গদ্যের প্রথম যুগে সাধু রীতির ব্যাপক প্রচলন ছিল।
- রাজা রামমোহন রায় প্রথম সাধু ভাষার প্রয়োগ করেন।
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের প্রথম নিদর্শন 'চর্যাপদ '। 'চর্যাপদ ' একটি গানের সংকলন। এখানে ২৩ জন কবির ৫১ টি (মতান্তরে ৫০ টি) কবিতা বা গান রয়েছে। চর্যাপদের প্রথম পদটি লুইপার লেখা। তাই বলা যায়, চর্যাপদের আদি কবি লুইপা।
বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০ টি বর্ণ আছে। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি। স্বরধ্বনি দ্যোতক সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন - অ, আ, ই ইত্যাদি। অন্যদিকে ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন - ক, খ, গ ইত্যাদি । উল্লেখ্য, বাংলা বর্ণমালার ৫০ টি বর্ণের মধ্যে ৩২ টিতে পূর্ণমাত্রা, ৮ টিতে অর্ধমাত্রা ও ১০ টিতে কোনো মাত্রা ব্যবহৃত হয় না।
জব সলুশন