বিষয়ঃ বাংলা সাহিত্য
1.
পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ- কে কাকে বলেছিল?
কপালকুণ্ডলা সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। এ উপন্যাসের কিছু অবিস্মরণীয় উক্তি বাংলা ভাষায় সুভাষিত উক্তি রূপে বহুল ব্যবহৃত ও চর্চিত হয়। যেমন:
-তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
-পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? (নবকুমারের উদ্দেশ্যে কপালকুন্ডলা);
-যাহাতে জগদীশ্বরের হাত, তাহা পন্ডিতে বলিতে পারেনা। (নবকুমার, কপালকুণ্ডলার উদ্দেশ্যে অধিকারি);
-ক্ষেত্রে বীজ রোপিত হইলে আপনিই অঙ্কুর হয়।
3. পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ! উদ্ধৃতাংশটুকু কোন গ্রন্থের?
4. পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ!- কথাটি কার?
5. 'কপালকুণ্ডলা' কোন প্রকৃতিক রচনা?
6. বাংলা সাহিত্যের অনবদ্য উপন্যাস 'কপালকুণ্ডলা' এর রচয়িতা কে?
7.
'দুর্গেশনন্দিনী' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর "দুর্গ প্রধানের কন্যা" সঠিক কারণ "দুর্গেশনন্দিনী" শব্দটি প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত: "দুর্গ" এবং "জননী"। "দুর্গ" মানে দুর্গ (ফোর্ট) এবং "জননী" মানে মা বা কন্যা। তাই "দুর্গেশনন্দিনী" এর অর্থ হল "দুর্গের প্রধানের কন্যা" বা "দুর্গের মেয়ে"। এখানে দুর্গের অর্থ দুর্গ ও তার প্রধানের সঙ্গেও সংযুক্ত।
8. বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক উপন্যাস কোনটি?
9. বাংলা আধুনিক উপন্যাস-এর প্রবর্তক ছিলেন-
10. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
12. বঙ্কিমচন্দ্র পেশাজীবন শুরু করেন কী হিসেবে?
13. বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যচর্চার শুরু কোন পত্রিকার মাধ্যমে?
14.
'কাঁঠালপাড়া'য় জন্মগ্রহণ করেন কোন লেখক?
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তারিখ ২৭ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র, মাতা দুর্গাসুন্দরী দেবী, বঙ্কিমের পূর্বে তার আরও দুই পুত্রের জন্ম হয় – শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমের জন্মকালে তিনি সদ্য অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন।
15. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস 'দুর্গেশনন্দিনী' কত সালে প্রকাশিত হয়?
16. বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক উপন্যাস কোনটি?
17. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক কে?
18. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম উপন্যাস কোনটি?
19.
'চন্দ্রশেখর' উপন্যাস কার লেখা?
বঙ্গিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কতিপয় সাহিত্যকর্ম: প্রবন্ধগ্রন্থ- লোকরহস্য, বিজ্ঞানরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, সাম্য। উপন্যাস- দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, রজনী। ত্রয়ী উপন্যাস- আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী, সীতারাম।
20. 'দেবীচৌধুরাণী' উপন্যাসটির রচয়িতা কে?
21. 'যুগলাঙ্গরীয়' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
22. 'ইন্দিরা' গ্রন্থটি কার রচনা?
23. 'আনন্দমঠ' উপন্যাসটি কার লেখা?
24. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'বিষবৃক্ষ' উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
27. 'রোহিণী-বিনোদিনী-কিরণময়ী' কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?
28. 'কৃষ্ণকান্তের উইল' এ রোহিণী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল কেন?
29. 'মনোরমা' বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
30. 'মৃণালিনী' উপন্যাসটি কার রচনা?
31. 'কিন্তু মনুষ্য কখনো পাষাণ হয় না' উক্তিটি কোন উপন্যাসের?
32. 'রাজসিংহ' উপন্যাস কার রচনা?
34. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'বিষবৃক্ষ' উপন্যাসে কোন চরিত্রটি পাওয়া যায়?
35. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম-
36. নিচের কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস?
37. প্রদীপ নিবিয়া গেলা- এ বিখ্যাত বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
38. তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?” কোন উপন্যাস থেকে উৎকলিত?
39. আমি চোর বটে, কিন্তু আমি কি সাধ করিয়া চোর হইয়াছি?' উক্তিটি কোন গদ্যের?
42. 'বিড়াল' প্রবন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র কাদের অধিকারের কথা বলেছেন?
44. 'আমি শয়নগৃহে, চারপায়ীর উপর বসিয়া, হুঁকা হাতে ঝিমাইতেছিলাম।' উক্তিটি কোন লেখার অন্তর্গত?
45. 'বিড়াল' কোন ধরনের রচনা?
47. 'পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না, পরের জন্য তোমার হৃদয়-কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও' উক্তিটি কার?
48. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'কমলাকান্তের দপ্তর' গ্রন্থটি কয়টি অংশে বিভক্ত?
49. 'অতএব পুরুষের মত আচরণ করাই বিধেয়' কথাটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
50. 'কেহ মরে বিল ছেঁচে কেহ খায় কই।' এ প্রবচনটি কোন প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃত?
52. 'বিড়াল' রচনায় কোন যুদ্ধের উল্লেখ রয়েছে?
53. 'অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য এ পৃথিবীতে কেহ আইসে নাই' - উক্তিটি কার?
56. বঙ্কিমচন্দ্রের তিনটি গ্রন্থের নাম-
57. নিচের যে উপন্যাসে গ্রামীণ সমাজ জীবনের চিত্র প্রাধান্য লাভ করেনি-
58. নিচের কোনটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস?
59. 'রচনার শিল্পগুণ' প্রবন্ধটি কার লেখা?
60. 'মার্জার বিদায় হইল।' বাক্যটি কোন রচনার অন্তর্গত?
61. 'আফিঙের বিশেষ প্রয়োজন নাই, তবু হাঁড়ি খাওয়ার কথা, ক্ষুধানুসারে বিবেচনা করা যাইবে' উক্তিটি কোন প্রবন্ধের অন্তর্গত?
63. 'বিজ্ঞ লোকের মত এই যে, যখন বিচারে পরাস্ত হইবে, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে।' বক্তব্যটি কোন রচনার অন্তর্গত?
64. কোন প্রবন্ধগুচ্ছ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের?
66. 'বিবিধ প্রবন্ধ' বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কী ধরনের রচনা?
67.
'সাম্য' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
‘সাম্য' (১৮৭৯) গ্রন্থের রচয়িতা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এ গ্রন্থের প্রবন্ধসমূহে ইউরােপের সাম্যচিন্তার ধারার ইতিহাস, সমাজ ও অর্থনৈতিক প্রগতিশীল চিন্তা, সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা কামনা এবং কৃষকদের দুঃখের কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক শােষণকে চিহ্নিত করা প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
68. 'কমলাকান্তের জবানবন্দি' প্রথম যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, সেটির নাম-
70.
'বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ' প্রহসনটির রচয়িতা কে?
'বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ' - - মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩) ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও নাট্যকার এবং প্রহসন রচয়িতা।
মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য।
তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি হলো দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, কৃষ্ণকুমারী (নাটক), পদ্মাবতী (নাটক), বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ ইত্যাদি। মাইকেলের ব্যক্তিগত জীবন ছিল নাটকীয় এবং বেদনাঘন। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতায় মৃত্যু হয় এই মহাকবির।
71. নিম্ন গ্রন্থগুলোর মধ্যে মধুসূদনের রচিত কোনটি?
72. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক-
73.
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঐতিহাসিক নাটক কোনটি?
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঐতিহাসিক নাটক ' সাজাহান' (প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে) । বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটকগুলো হলো - 'সিরাজদ্দৌলা ' (১৯০৫) , 'মীর কাসিম' (১৯০৬) , 'ছত্রপতি শিবাজী '(১৯০৭) , 'তারাবাঈ' (১৯০৩) ,'নূরজাহান ' (১৯০৮) , 'চন্দ্রগুপ্ত' (১৯১১) , 'সিংহল বিজয়' (১৯১৬) ইত্যাদি।
74. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক কমেডি নাটক কোনটি?
75. 'সেই ধন্য নরকুলে, লোকে যারে নাহি ভুলে'..... পঙ্ক্তিটি কার?
76. জন্মিলে মরিতে হবে,/ অমর কে কোথা কবে,/ চিরস্থির কবে নীর,/ হায় রে, জীবন-নদে? কোন কবির উক্তি?
77.
রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক রচনা কোনটি?
বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি মাইকেল মমধুসূদন দত্ত রচিত "ব্রজাঙ্গনা কাব্যগ্রন্থতটি রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক একটি রচনা। মিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত এ কাব্যগ্রন্থ ওড (Ode) জাতীয় গীতিকবিতা স্থান পেয়েছে।
78.
'বীরঙ্গনা' পত্রকাব্যে পত্র সংখ্যা কত?
• বীরাঙ্গনা কাব্য মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর লেখা একটি বাংলা কবিতার বই।
- ১৮৬২ সালে এই গ্রন্থ রচিত ও প্রকাশিত হয়।
- দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলা, সোমের প্রতি তারা, দ্বারকনাথের প্রতি রুক্মিণী, দশরথের প্রতি কৈকয়ী, লক্ষ্মণের প্রতি সূপর্ণখা, অর্জুনের প্রতি দ্রৌপদী, দুর্যোধনের প্রতি ভানুমতী, জয়দ্রথের প্রতি দুঃশলা, শান্তনুর প্রতি জাহ্নবী, পুরুবার প্রতি উর্বশী, নীলধ্বজের প্রতি জনা— এই ১১টি পত্ররূপী কবিতা নিয়ে কাব্যগ্রন্থটি রচিত।
- মধুসূদন তার কাব্যে এই নারীদের পুরাণ-পরিচিতির মূলে আঘাত করেছেন। তিনি মানবিক অনুভূতির আলোকে নারী-হৃদয়ের কথকতায় ব্যক্ত করিয়েছেন।
- তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্য- তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০), মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১), ব্রজাঙ্গনা কাব্য (১৮৬১), বীরাঙ্গনা কাব্য (১৮৬২), চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৫) ইত্যাদি।
79.
মাইকেল মধুসুদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' কোন ধরনের কাব্য?
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' কাব্য এক ধরনের পত্রকাব্য।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য। তার আরও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হলো - The captive Lady, তিলোত্তমাসম্ভব, ব্রজাঙ্গনা, চতুর্দশপদী কবিতাবলী। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' ও অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'তিলোত্তমাসম্ভব'। তবে মধুসূদন অমিত্রাক্ষর ছন্দের সর্বপ্রথম প্রয়োগ ঘটান তার 'পদ্মাবতী' নাটকে।
80.
নিচের কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয়?
মহাকবি কায়কোবাদ এর অশ্রুমালা
81.
'একেই কি বলে সভ্যতা' এটি মধুসূদন দত্তের কী জাতীয় রচনা?
" একেই কি বলে সভ্যতা? " - এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন। প্রহসন বলতে মুলত একধরনের হাস্যরসাত্মক নাটক বোঝায়। এর উদ্দেশ্য হলো হাস্যরস ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপের আড়ালে অতিরঞ্জিত , অসংযত ও অভাবনীয় অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে দর্শক দের বিনোদন প্রদান করা। প্রদত্ত প্রহসনটিও মাইকেল মধুসূদন দত্তের হাস্যরসাত্মক কাহিনী নিয়ে রচিত।
82. বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রথম ব্যবহৃত হয়-
83.
'অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে ও বঙ্গে'- কার উক্তি?
"অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে ও বঙ্গে" - উক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের। এটি তার প্রস্তাবনা কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনা কবিতাটি "শর্মিষ্ঠা " নাটকের অন্তর্গত। নাটকটি ১৮৫৯ সালে রচিত হয়। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক।
84.
মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটক কোনটি?
বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক, অমিত্রাক্ষর ছন্দের যাদুকর মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটকগুলো হলো - শর্মিষ্ঠা (১৮৫৮), পদ্মবতী (১৮৬০), কৃষ্ণকুমারি (১৮৬১), মায়াকানন (১৮৭৪) প্রভৃতি। অন্যদিকে, ‘ভদ্রার্জুন’ তারাচরণ শিকদার রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক। ‘শকুন্তলা’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান’ শকুন্তলম’ নাটকের বঙ্গানুবাদ এবং ‘রাবণ বধ’ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার রচিত নাটক।
85.
প্রথম সার্থক বাংলা নাটক-
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক শর্মিষ্ঠা। নাটকটি ১৮৫৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় । এটি মধসূদন রচিত ও প্রকাশিত প্রথম বাংলা গ্রন্থ ।
- পদ্মাবতী ১৮৬০ , কৃষ্ণকুমারী ১৮৬১ মধুসূদনের রচিত নাটক ।
- দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নীল দর্পণ নাটকটি ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ ।
86. কোন বাঙালি নাট্যকার বাংলা নাটকের পথিকৃৎ?
87.
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দের সফল প্রয়োগ ঘটান 'তিলোত্তমাসম্ভব' কাব্যগ্রন্থে। তার রচিত' মেঘনাদবধ কাব্য' বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য এবং 'বীরঙ্গনা' বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম পত্রকাব্য। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত 'বেতালপঞ্চবিংশতি' হিন্দি 'বৈতাল পচ্চীসীর' অনুবাদ' বিদ্যাসাগর এই গ্রন্থে সর্বপ্রথম যতি - চিহ্নের সফল প্রয়োগ করেন।
88.
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য কোনটি?
“বীরাঙ্গনা” কাব্যটি ১৮৬২ সালে রচিত হয়েছিল এবং এটি বাংলা সাহিত্যে প্রথম পত্রকাব্য হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মোট ১১টি পত্র রয়েছে, যা বিভিন্ন নারীর মনোবেদনা, প্রেম, এবং সামাজিক অবিচারের কথা প্রকাশ করে1। মধুসূদন দত্ত এই কাব্যটি রোমান কবি ওভিদের “হিরোয়দস” কাব্যের অনুকরণে রচনা করেছিলেন।
89.
হায়রে কোথা সে বিদ্যা, যে বিদ্যা বলে দূরে থাকি পার্থরথী তোমার চরণে।- উদ্ধৃত চরণ দুটির কবি কে?
উদ্ধৃত চরণ দুটির কবি হলেন ** মাইকেল মধুসূদন দত্ত**, যা তাঁর বিখ্যাত 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী'র একটি সনেট থেকে নেওয়া হয়েছে, যেখানে তিনি দ্রোণাচার্যের কাছে সেই বিদ্যা চেয়েছেন যা অর্জুনকে রক্ষা করতে পারত।
90. 'দুগ্ধস্রোতরূপী তুমি জন্ম-ভূমি স্তনে।' কার উক্তি?
91. সতত হে নদ, তুমি পড় মোর মনে। সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।- চরণ দুটির কবি কে?
93. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি কে লিখেছেন?
94. মজিনু বিফল তপে অবরণ্যে বরি- এ চরণের 'বিফল তপে' বলতে প্রকৃত অর্থে বোঝানো হয়েছে-
95. মাতৃভাষা- রূপ খনি পূর্ণ মণিজালে- 'মণিজাল' শব্দের অর্থ-
96. পালিলাম আজ্ঞাসুখে, পাইলাম কালে- কে পেয়েছিলেন?
99. ওরে বাছা মাতৃকোষে রতনের রাজি, এ ভিখারী দশা তবে কেন তোর আজি- এ পঙ্ক্তিদ্বয় কোন কবিতার অন্তর্গত?
100. ওরে বাছা মাতৃকোষে রতনের রাজি, এ ভিখারী দশা তবে কেন তোর আজি- কোন কবির রচনা?
102. ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন- কার ভাণ্ডারে?
103. হে বঙ্গ ... তব বিবিধ রতন -বাক্যের শূন্যস্থানে কোন শব্দটি প্রযোজ্য?
104. 'বঙ্গভাষা' কবিতায় কবির বক্তব্য-
106. কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন। এখানে কমল-কানন শব্দের ব্যঞ্জনার্থ-
107.
'কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন।' 'শৈবালে' বলতে বোঝানো হয়েছে-
সঠিক উত্তরটি হলো: পরভাষাকে (C)।
ব্যাখ্যা:
মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর 'বঙ্গভাষা' সনেটে এই পঙক্তিটি ব্যবহার করেছেন। এখানে রূপক অর্থে:
কমল-কানন (পদ্ম বাগান) বলতে তিনি নিজের মাতৃভাষা বা বাংলা ভাষাকে বুঝিয়েছেন।
শৈবাল (শেওলা) বলতে তিনি পরভাষা বা ইংরেজি ভাষাকে বুঝিয়েছেন।
কবি আক্ষেপ করে বলেছেন যে, তিনি মাতৃভাষারূপ অমূল্য রত্নভাণ্ডার (কমল-কানন) ত্যাগ করে বিদেশি ভাষারূপ সাধারণ শৈবালের পেছনে বা তুচ্ছ বস্তুর পেছনে সময় নষ্ট করেছেন।
108. বঙ্গভাষা কবিতায় কুললক্ষ্মী বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
109. পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।- কবি পর-ধন বলতে বুঝিয়েছেন-
110. “হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন, তা সবে (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।" এই পঙ্ক্তিটি কোন কবির রচনা?
113. 'দি ক্যাপটিভ লেডি' (The Captive Ladie) কাব্যটি লিখেছেন-
114. বাংলা কবিতায় আধুনিকতার প্রবর্তক কে?
115. বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি কে?
116. 'হেক্টরবধ' কোন উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত?
117. 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কবিতাংশে 'বাসবত্রাস' বলা হয়েছে-
118.
'বঙ্গভাষা' কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
বঙ্গভাষা - কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
প্রতিটি চরণে ১৪ মাত্রায় দুটি পর্ব।
প্রথম পর্ব ৮ মাত্রার ও দ্বিতীয় পর্ব ৬ মাত্রার।
হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;
তা সবে, ( অবোধ আমি ) অবহেলা করি,
119. 'বঙ্গভাষা' সনেট প্রথম কী নামে লেখা হয়?
120. 'বঙ্গভাষা' কবিতা রচয়িতা কে?
121. 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' কার রচনা?
122. মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য' একটি-
123. অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্য কোনটি?
125.
'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশটুকু 'মেঘনাদবধ কাব্য'র কোন সর্গ থেকে নেওয়া হয়েছে?
সঠিক উত্তরটি হলো ষষ্ঠ।
বিশদ ব্যাখ্যা:
'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশটুকু মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'মেঘনাদবধ কাব্য'র ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে। এই সর্গটির নাম 'বধ' (Badh/Killing)। এই সর্গে লক্ষ্মণ কর্তৃক নিরস্ত্র মেঘনাদকে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে বধ করার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যেখানে মেঘনাদ ও তার চাচা বিভীষণের মধ্যে যে কথোপকথন হয়, সেটিই পাঠ্যবইয়ে 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' নামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
128.
'মেঘনাদবধ' কাব্যে যুদ্ধের সময় পশ্চিম দুয়ারে রক্ষক হিসেবে কে ছিলেন?
'মেঘনাদবধ' কাব্যের প্রথম সর্গের বর্ণনা অনুযায়ী, লঙ্কা অবরোধের সময় রামচন্দ্রের বাহিনীর সেনাপতিরা নিম্নোক্ত চারটি দ্বারে অবস্থান করছিলেন:
১. পূর্ব দ্বারে: বীর নীল
২. দক্ষিণ দ্বারে: অঙ্গদ
৩. উত্তর দ্বারে: রাজা সুগ্রীব
৪. পশ্চিম দ্বারে: দাশরথি (রামচন্দ্র) - তাঁর সাথে ছিলেন লক্ষ্মণ ও হনুমান।
আপনার প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে সঠিক উত্তর হলো রামচন্দ্র।
129. 'ফেনাময়, ফণাময় যথা ফণিবর/ উথলিছে নিরন্তর গভীর নির্ঘোষে'। উক্তিটি কোন কবিতার অংশ?
133. মধুসূদন দত্ত যে সাহিত্য রচনা করে অমর হয়ে রয়েছেন তা হলো-
134. বাংলা সাহিত্যে সার্থক মহাকাব্যের রচয়িতা-
136. মাইকেল মধুসূদন দত্ত যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন-
137. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোন শতাব্দীতে জীবিত ছিলেন?
139. 'যে ডরে, ভীরু সে মূঢ়; শতধিক্ তারে!' উক্তিটি কোন কবিতার অংশ?
140. মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য' ইংরেজিতে প্রথম অনুবাদ করেন কে?
141. 'মেঘনাদবধ' কাব্যে কোনটির প্রবল প্রকাশ ঘটেছে?
144. মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য' প্রকৃতপক্ষে কোন রসের কাব্য?
146. মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রধান অবদান কোনটি?
147. মধুসূদনের মৃত্যু হয় কোথায়?
148. মধুসূদন খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন-
149. মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি যশোর জেলার কোন উপজেলায়?
150. 'বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ' প্রহসনটির রচয়িতা কে?
151. নিম্ন গ্রন্থগুলোর মধ্যে মধুসূদনের রচিত কোনটি?
152. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক-
154. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক কমেডি নাটক কোনটি?
155. 'সেই ধন্য নরকুলে, লোকে যারে নাহি ভুলে'..... পঙ্ক্তিটি কার?
156. জন্মিলে মরিতে হবে,/ অমর কে কোথা কবে,/ চিরস্থির কবে নীর,/ হায় রে, জীবন-নদে? কোন কবির উক্তি?
159. মাইকেল মধুসুদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' কোন ধরনের কাব্য?
160. নিচের কোনটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয়?
161. 'একেই কি বলে সভ্যতা' এটি মধুসূদন দত্তের কী জাতীয় রচনা?
162. বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রথম ব্যবহৃত হয়-
163. 'অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে ও বঙ্গে'- কার উক্তি?
166. কোন বাঙালি নাট্যকার বাংলা নাটকের পথিকৃৎ?
167. মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় কোনটি?
169. হায়রে কোথা সে বিদ্যা, যে বিদ্যা বলে দূরে থাকি পার্থরথী তোমার চরণে।- উদ্ধৃত চরণ দুটির কবি কে?
170. 'দুগ্ধস্রোতরূপী তুমি জন্ম-ভূমি স্তনে।' কার উক্তি?
171. সতত হে নদ, তুমি পড় মোর মনে। সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।- চরণ দুটির কবি কে?
173. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতাটি কে লিখেছেন?
174. মজিনু বিফল তপে অবরণ্যে বরি- এ চরণের 'বিফল তপে' বলতে প্রকৃত অর্থে বোঝানো হয়েছে-
175. মাতৃভাষা- রূপ খনি পূর্ণ মণিজালে- 'মণিজাল' শব্দের অর্থ-
176. পালিলাম আজ্ঞাসুখে, পাইলাম কালে- কে পেয়েছিলেন?
179. ওরে বাছা মাতৃকোষে রতনের রাজি, এ ভিখারী দশা তবে কেন তোর আজি- এ পঙ্ক্তিদ্বয় কোন কবিতার অন্তর্গত?
180. ওরে বাছা মাতৃকোষে রতনের রাজি, এ ভিখারী দশা তবে কেন তোর আজি- কোন কবির রচনা?
182. ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন- কার ভাণ্ডারে?
183. হে বঙ্গ ... তব বিবিধ রতন -বাক্যের শূন্যস্থানে কোন শব্দটি প্রযোজ্য?
184. 'বঙ্গভাষা' কবিতায় কবির বক্তব্য-
186. কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন। এখানে কমল-কানন শব্দের ব্যঞ্জনার্থ-
187. 'কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন।' 'শৈবালে' বলতে বোঝানো হয়েছে-
188. বঙ্গভাষা কবিতায় কুললক্ষ্মী বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
189. পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।- কবি পর-ধন বলতে বুঝিয়েছেন-
190. “হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন, তা সবে (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।" এই পঙ্ক্তিটি কোন কবির রচনা?
193. 'দি ক্যাপটিভ লেডি' (The Captive Ladie) কাব্যটি লিখেছেন-
194. বাংলা কবিতায় আধুনিকতার প্রবর্তক কে?
195. বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি কে?
196. 'হেক্টরবধ' কোন উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত?
197. 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কবিতাংশে 'বাসবত্রাস' বলা হয়েছে-
199. 'বঙ্গভাষা' সনেট প্রথম কী নামে লেখা হয়?
200. 'বঙ্গভাষা' কবিতা রচয়িতা কে?
201. 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' কার রচনা?
202. মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য' একটি-
203. অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম কাব্য কোনটি?
205. 'বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ' কাব্যাংশটুকু 'মেঘনাদবধ কাব্য'র কোন সর্গ থেকে নেওয়া হয়েছে?
208. 'মেঘনাদবধ' কাব্যে যুদ্ধের সময় পশ্চিম দুয়ারে রক্ষক হিসেবে কে ছিলেন?
209. 'ফেনাময়, ফণাময় যথা ফণিবর/ উথলিছে নিরন্তর গভীর নির্ঘোষে'। উক্তিটি কোন কবিতার অংশ?
213. মধুসূদন দত্ত যে সাহিত্য রচনা করে অমর হয়ে রয়েছেন তা হলো-
214. বাংলা সাহিত্যে সার্থক মহাকাব্যের রচয়িতা-
216. মাইকেল মধুসূদন দত্ত যে গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন-
217. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোন শতাব্দীতে জীবিত ছিলেন?
219. 'যে ডরে, ভীরু সে মূঢ়; শতধিক্ তারে!' উক্তিটি কোন কবিতার অংশ?
220. মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য' ইংরেজিতে প্রথম অনুবাদ করেন কে?
221. 'মেঘনাদবধ' কাব্যে কোনটির প্রবল প্রকাশ ঘটেছে?
224. মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য' প্রকৃতপক্ষে কোন রসের কাব্য?
226. মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রধান অবদান কোনটি?
227. মধুসূদনের মৃত্যু হয় কোথায়?
228. মধুসূদন খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন-
229. মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি যশোর জেলার কোন উপজেলায়?
230. নিচের কোন গ্রন্থে প্রথম যতিচিহ্নের সার্থক প্রয়োগ করা হয়?
231. বিদ্যাসাগরের রম্য রচনা কোনটি?
232. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাঙ্গাত্মক রচনা কোনটি?
233. 'পিতৃদেবকে জিজ্ঞাসিলাম, বাবা, রাস্তার ধারে শিল পোতা আছে কেন?' উক্তিটি কোন গল্পের/কবিতার?
234. কোনটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আত্মজীবনী?
235. 'প্রভাবতী সম্ভাষণ' কার রচনা?
236. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৌলিক রচনা-
237. কালিদাসের 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম' নাটকটি মূলত কোন ভাষায় রচিত?
238. 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম' নাটকের রচয়িতা কে?
239. নিচের কোনটি উইলিয়াম শেক্সপীয়রের গ্রন্থের অনুবাদ?
240. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের 'ভ্রান্তিবিলাস' কোন নাটকের গদ্য অনুবাদ?
241. কোন গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নতুন যুগের সূচনা হয়?
242. ঈশ্বরচন্দ্রকে কোন প্রতিষ্ঠান 'বিদ্যাসাগর' উপাধি প্রদান করে?
243. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে কবে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি দেয়া হয়?
244. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পারিবারিক নাম-
245. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোন শতকের মানুষ?
246. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
247. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেন-
248. হিন্দু সমাজে বিধবা বিবাহের প্রবর্তক-
249. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কত সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগে হেডপণ্ডিত হিসেবে যোগদান করেন?
250. কোন জন ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের শিক্ষক ছিলেন?
251.
বিদ্যাসাগরের অনুবাদগ্রন্থ নয় কোনটি?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কালিদাসের সংস্কৃত ভাষার নাটক 'অভিজ্ঞানশকুন্তলম' এর উপাখ্যান ভাগের বাংলা অনুবাদ করেন,
তার অনুবাদগ্রন্থঃ
- শকুন্তলা,
- সীতার বনবাস,
- ভ্রান্তিবিলাস,
- বাঙলার ইতিহাস ইত্যাদি।
252. ১৮৫৫ সালে বিদ্যাসাগরের লেখা কোন বইটি ক্লাসিক মর্যাদা লাভ করেছে?
253. 'শকুন্তলা' উপাখ্যানে যে নদীর কথা উল্লেখ আছে-
254. বুঝিলাম, আজ উদ্যানলতা সৌন্দর্যগুণে, বনলতার নিকট পরাজিত হইল' উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে?
255. 'একি শরীরের রূপ, নাকি রূপের শরীর' রাজা দুষ্মন্ত কোন গদ্যাংশে এই উক্তি করেন?
256. শকুন্তলার পিতার নাম কি?
257. 'শকুন্তলা' কে অনুবাদ করেন?
258.
আঁধার যুগের রচনা বলা হয় কোনটিকে?
রামাই পন্ডিত রচিত বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্ব গ্রন্থ শূন্যপুরাণ। শূণ্যপুরাণ গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণে রচিত একটি চম্পূকাব্য। ইখতিয়ার উদ্দীন বখতিয়ার খলজিকে বাংলায় আমন্ত্রন জানিয়ে হলায়ুধ মিশ্র রচনা করেন সেক শুভোদয়া। প্রাকৃত ভাষায় রচিত গীতিকবিতা প্রাকৃত পৈঙ্গল এসময় রচিত। অবশ্য এগুলো রচনার কাল নিয়ে মতভেদ আছে।
259. হাত জোড় করিঞা মাঙ্গো দান, বারেক মহাত্মা রাখ সম্মান। কোন গ্রন্থ থেকে গৃহীত?
262. 'শূন্যপুরাণ' হলো-
263.
ত্রয়োদশ শতকের সাহিত্যকর্ম কোনটি?
ত্রয়োদশ শতকের সাহিত্যকর্ম হলো শূন্যপুরাণ।
বিশ্লেষণ:
শূন্যপুরাণ: রামাই পণ্ডিত রচিত এই গ্রন্থটিকে বাংলা সাহিত্যের ‘অন্ধকার যুগ’ বা তুর্কি আক্রমণ পরবর্তী সময়ের (১২০১-১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ) সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অধিকাংশ গবেষক রামাই পণ্ডিতের আবির্ভাবকাল ১৩শ বা ১৪শ শতক বলে মনে করেন।
মনসামঙ্গল ও পদ্মপুরাণ: মনসামঙ্গলের প্রধান কবিদের (যেমন বিজয় গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই) সময়কাল পঞ্চদশ শতাব্দী (১৫শ শতক)। বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্যই 'পদ্মপুরাণ' নামে পরিচিত।
চন্দ্রাবতী: চন্দ্রাবতী ছিলেন ষোড়শ শতাব্দীর (১৬শ শতক) শেষের দিকের বা সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম দিকের একজন কবি।
সুতরাং সঠিক উত্তর শূন্যপুরাণ।
265. কোন সময়কে বাংলা সাহিত্যের 'অন্ধকার যুগ' বলা হয়?
266.
পদ বা পদাবলি বলতে কী বুঝায়?
- পদ বা পদাবলী বলতে বুঝায়- পদ্যাকারে রচিত দেবস্তুতিমূলক রচনা।
- সংস্কৃত ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলির আদি পদকর্তা- জয়দেব।
- বৈষ্ণব পদাবলির আদি পদকর্তা/প্রথম পদকর্তা/আদি কবি- জয়দেব।
- বৈষ্ণব পদাবলির আদি পদকর্তা/প্রথম পদকর্তা/আদি কবি- বিদ্যাপতি (অপশনে “জয়দেব” না থাকলেই কেবল বিদ্যাপতি হবে, কিন্তু জয়দেব থাকলে অবশ্যই জয়দেব উত্তর হবে)।
- বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলির আদি পদকর্তা/প্রথম পদকর্তা/আদি কবি- চণ্ডীদাস (অপশনে যাই থাকুকনা কেন “বাংলা ভাষায়” কথাটি উল্লেখ থাকলে উত্তর হবে চণ্ডীদাস)।
- প্রশ্নে কোনো ভাষার উল্লেখ না করে যদি বলা হয় "পদাবলির প্রথম কবি কে?" তখন উত্তর হবে- বিদ্যাপতি।
267. ইসলাম ও সুফিমতের প্রভাবে ভারতবর্ষে ঘটেছিল-
268. নিচের কোন জন যুদ্ধকাব্যের রচয়িতা নন?
269.
'কাশিমের লড়াই' গ্রন্থটির রচয়িতা-
মর্সিয়া সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য কবি হলেন শেররাজ। তার ল্লেখযোগ্য অবদান ‘কাশিমের লড়াই’।
✿✿ কিছু কনফিউশান উত্তরঃ
১) মীর মশাররোফ হোসেন এর মৃত্যু ?- ১৯১১/১৯১২। =১৯১১
২) সুলতানার স্বপ্ন – গ্রন্থ / উপন্যাস ? = গ্রন্থ
৩) ঠাকুরমার ঝুলি কোনধরনের রচনা ?- রুপকথা/ উপকথা/.? =রুপকথা
৪) কাশিমের লড়াই কার- আলাওল/ শেররাজ? =শেররাজ
271. বাংলা অনুবাদ কাব্যের সূচনা কোন যুগে হয়?
272. 'বড়ু চণ্ডীদাসের কাব্য' গ্রন্থের সম্পাদক-
273.
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের 'বড়াই' কী ধরনের চরিত্র?
মধ্যযুগের আদি কবি বডু চণ্ডীদাস লোকসমাজে প্রচলিত রাধাকৃষ্ণ প্রেম - সম্পর্কিত গ্রাম্য গল্প অবলম্বনে 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য রচনা করেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় দিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম্য গল্প অবলম্বনে 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য রচনা করেন। ১৯১৬ সালে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় গ্রন্থটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয় । পুরো কাব্যটি আবর্তিত হয়েছে রাধা - কৃষ্ণের প্রেমনিবেদন, দেহসম্ভোগ,দুঃখভোগ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে। আর বড়াই চরিত্রটিকে কবি সৃষ্টি করেছেন রাধা - কৃষ্ণের প্রেমের সংবাদ আদান - প্রদানকারিণী হিসেবে।
275. কোনটি 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের অন্তর্ভুক্ত নয়?
276.
কোনটি 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের খণ্ড নয়?
সঠিক উত্তর হলোঃ প্রণয় খন্ড।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি প্রধানত কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত, যেখানে রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমলীলা বর্ণিত হয়েছে। এই খণ্ডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
নৌকা খন্ড: এই অংশে কৃষ্ণ মাঝির ছদ্মবেশে রাধাকে পারাপার করান।
হার খন্ড: এখানে কৃষ্ণ রাধার হার চুরি করে লুকিয়ে রাখেন।
রাধাবিরহ: এটি কাব্যের সবচেয়ে বড় অংশ, যেখানে রাধা ও কৃষ্ণের বিচ্ছেদ ও বিরহ বেদনা বর্ণিত হয়েছে।
উপরের বিকল্পগুলোতে যে "প্রণয় খন্ড" নামটি দেওয়া হয়েছে, তা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কোনো পরিচিত খণ্ড নয়।
অন্যান্য খণ্ডগুলো হলো: জন্ম খণ্ড, তাম্বূল খণ্ড, দান খণ্ড, ছত্র খণ্ড, হার খণ্ড এবং বাণ খণ্ড।
280. সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল'- পদটির রচয়িতা কে?
283. সই কেমনে ধরিব হিয়া/ আমার বধূয়া আন বাড়ি যায়/ আমারি আঙ্গিনা দিয়া ! কার রচনা?
284. 'সই কে শুনাইল শ্যাম নাম' পদটির রচয়িতা কে?
285. 'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই'- কে বলেছেন?
289. ”কানু ছাড়া গীত নাই” কোন যুগে সত্য ছিল?
290. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যখানি আবিষ্কৃত হয় কোথায়?
292. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের সম্পাদক-
293. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' আবিষ্কার করেন-
295. 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের রচয়িতা-
297. সর্বজন স্বীকৃত ও খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
298. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কোনটি?
299. বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত কাব্যের নাম কি?
300. আলাউদ্দিন হোসেন শাহ বাংলা সাহিত্যে কী কারণে খ্যাতিমান?