দুর্নাম' ও 'দুর্নিবার' শব্দ দুটিতে মূর্ধন্য-ণ ব্যবহার হয়নি কেন ?
ক) সমাসবদ্ধ পদ বলে
খ) দেশি শব্দ বলে
গ) তৎসম শব্দ বলে
ঘ) বিদেশি শব্দ বলে
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
নিয়ম অনুযায়ী, সমাসবদ্ধ পদে ণ-ত্ব বিধান খাটে না, অর্থাৎ সেখানে স্বভাবতই দন্ত্য-ন বসে। 'দুর্নাম' (দুঃ যে নাম) এবং 'দুর্নিবার' (দুঃখে নিবারণ করা যায় যা) উভয়ই সমাসবদ্ধ পদ হওয়ায় এখানে মূর্ধন্য 'ণ' না বসে দন্ত্য 'ন' বসেছে।
Related Questions
ক) ৬ টি
খ) ৭টি
গ) ৮টি
ঘ) ৯টি
Note : পরিবর্তিত শব্দগুলো হলো: ১. ফাল্গুন > ফাগুন (অন্তর্হতি), ২. সকাল > সক্কাল (ব্যঞ্জনদ্বিত্ব), ৩. অযথা > অযথাই (প্রত্যয়), ৪. বড়দাদা > বড়দা (ব্যঞ্জনলোপ), ৫. তর্ক > তক্ক (সমীভবন), ৬. করিতে > কত্তে (অভিশ্রুতি)। মোট ৬টি শব্দে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে।
ক) বিপ্রকর্ষ
খ) ধ্বনিলোপ
গ) সমীভবন
ঘ) স্বরসঙ্গতি
Note : বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি হলো উচ্চারণের সুবিধার জন্য যুক্তব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে একটি স্বরধ্বনি নিয়ে আসা। 'স্নান' (স্ন) শব্দে যুক্তব্যঞ্জনের মাঝে 'ই' স্বরধ্বনি এসে 'সিনান' হয়েছে। এটি বিপ্রকর্ষের একটি আদর্শ উদাহরণ।
ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
খ) কাজী নজরুল ইসলাম
গ) ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক) আম্র, বৃহৎ, মিঞা
খ) আয়না, হণি, ঋণ
গ) রং, চাঁদ, দুঃখ
ঘ) শিউলি, উচিত, বৃষ
Note : বাংলা বর্ণমালায় তিনটি পরাশ্রয়ী বর্ণ আছে: অনুস্বর (ং), বিসর্গ (ঃ), এবং চন্দ্রবিন্দু (ঁ)। এই বর্ণগুলো অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না। 'রং', 'চাঁদ', 'দুঃখ' - এই তিনটি শব্দে যথাক্রমে ং, ঁ, এবং ঃ ব্যবহৃত হয়েছে।
ক) বিন্যাসে
খ) আকৃতিতে
গ) অবস্থানে
ঘ) উচ্চারণে
Note : বাংলা বর্ণমালায় দুটি 'ব' আছে: একটি প-বর্গের তৃতীয় বর্ণ (বর্গীয় ব) এবং অন্যটি অন্তঃস্থ বর্ণ (য, র, ল, ব)। যদিও এদের উচ্চারণ এবং ব্যবহারিক অবস্থান ভিন্ন, কিন্তু এদের লিখিত রূপ বা আকৃতিতে কোনো পার্থক্য নেই। উভয়কেই 'ব' şeklinde লেখা হয়।
ক) কণ্ঠধ্বনি
খ) স্বরধ্বনি
গ) ব্যঞ্জনধ্বনি
ঘ) মিশ্র ধ্বনি
Note : ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের মূল বৈশিষ্ট্যই হলো ফুসফুস থেকে আগত বাতাস মুখগহ্বরের কোনো না কোনো স্থানে (যেমন: কণ্ঠ, তালু, মূর্ধা, দন্ত, ওষ্ঠ) বাধা পেয়ে উচ্চারিত হয়। স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাস কোথাও বাধা পায় না।
জব সলুশন