কোন শব্দটি অপত্মীবাচক?
ক) মাতা
খ) দাদি
গ) চাচি
ঘ) শিক্ষিকা
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
যেসব স্ত্রীবাচক শব্দের পুরুষবাচক প্রতিশব্দ নেই বা পুরুষবাচক শব্দ থেকে তৈরি হয়নি, তাদের অপত্মীবাচক শব্দ বলে। 'শিক্ষিকা' শব্দের পুরুষবাচক রূপ 'শিক্ষক' আছে, তাই এটি অপত্মীবাচক নয়, বরং পতি-পত্নীবাচক সম্পর্কের বাইরে সাধারণ স্ত্রীবাচক শব্দ। প্রশ্নটির উদ্দেশ্য সম্ভবত কোনটি নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ নয় তা জানতে চাওয়া। এখানে মাতা, দাদি, চাচি - এদের পুরুষবাচক রূপ (পিতা, দাদা, চাচা) আছে এবং এরা সম্পর্কবাচক। 'শিক্ষিকা' পেশাবাচক, যা 'শিক্ষক' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে এটিই ভিন্ন প্রকৃতির। তবে প্রশ্নটি অপত্মীবাচক হিসেবে কিছুটা বিভ্রান্তিকর।
Related Questions
ক) গাড়ি
খ) মন্ত্রী
গ) মানুষ
ঘ) পাখি
Note : বাংলা ব্যাকরণে যে শব্দ দ্বারা স্ত্রী বা পুরুষ কোনোটিই নির্দিষ্ট করে বোঝায় না, তাকে ক্লীব লিঙ্গ বলে। 'গাড়ি' একটি জড়বস্তু, তাই এটি ক্লীব লিঙ্গ। মন্ত্রী, মানুষ, পাখি ইত্যাদি শব্দগুলো উভয় লিঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
ক) ষষ্ঠ
খ) সম্মান
গ) স্বচ্ছ
ঘ) মনোযোগ
Note : বিসর্গ (ঃ) এর সাথে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। 'মনোযোগ' শব্দটির সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো মনঃ + যোগ। এখানে বিসর্গ 'ও'-কারে পরিণত হয়েছে, যা বিসর্গ সন্ধির একটি নিয়ম।
ক) পদ্মরাগ
খ) পদ্মাবতী
গ) রাজা
ঘ) আনোয়ারা
Note : 'পদ্মরাগ' (১৯২৪) বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এটি বাঙালি মুসলিম সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার নিয়ে লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম। 'পদ্মাবতী' আলাওলের রচনা এবং 'আনোয়ারা' নজীবর রহমান সাহিত্যরত্নের রচনা।
ক) চৌরাস্তা
খ) ঘিভাত
গ) চালাক চতুর
ঘ) টাকমাথা
Note : যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী পদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। এখানে, 'ঘিভাত' এর ব্যাসবাক্য হলো 'ঘি মিশ্রিত ভাত'। এখানে 'মিশ্রিত' মধ্যপদটি লোপ পেয়েছে।
ক) গুলো
খ) উপ
গ) ই
ঘ) ও
Note : উপসর্গ হলো এমন কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা অন্য শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে এবং অর্থের পরিবর্তন ঘটায়। 'উপ' একটি তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ, যেমন—উপকূল, উপহার। 'গুলো' একটি বহুবচনবোধক প্রত্যয়।
ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ঘ) প্রমথ চৌধুরী
Note : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যে প্রথম যতিচিহ্নের সার্থক ব্যবহার করেন এবং গদ্যকে সাবলীল ও প্রাঞ্জল রূপ দেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলা গদ্যের শিল্পরূপ প্রকাশ পায়, তাই তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
জব সলুশন