মাইকেল মধুসুদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' কোন ধরনের কাব্য?
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' কাব্য এক ধরনের পত্রকাব্য।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'বীরাঙ্গনা' অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য। তার আরও কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ হলো - The captive Lady, তিলোত্তমাসম্ভব, ব্রজাঙ্গনা, চতুর্দশপদী কবিতাবলী। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন 'চতুর্দশপদী কবিতাবলী' ও অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'তিলোত্তমাসম্ভব'। তবে মধুসূদন অমিত্রাক্ষর ছন্দের সর্বপ্রথম প্রয়োগ ঘটান তার 'পদ্মাবতী' নাটকে।
Related Questions
মহাকবি কায়কোবাদ এর অশ্রুমালা
" একেই কি বলে সভ্যতা? " - এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন। প্রহসন বলতে মুলত একধরনের হাস্যরসাত্মক নাটক বোঝায়। এর উদ্দেশ্য হলো হাস্যরস ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপের আড়ালে অতিরঞ্জিত , অসংযত ও অভাবনীয় অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে দর্শক দের বিনোদন প্রদান করা। প্রদত্ত প্রহসনটিও মাইকেল মধুসূদন দত্তের হাস্যরসাত্মক কাহিনী নিয়ে রচিত।
"অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে ও বঙ্গে" - উক্তিটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের। এটি তার প্রস্তাবনা কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবনা কবিতাটি "শর্মিষ্ঠা " নাটকের অন্তর্গত। নাটকটি ১৮৫৯ সালে রচিত হয়। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক।
বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক, অমিত্রাক্ষর ছন্দের যাদুকর মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাটকগুলো হলো - শর্মিষ্ঠা (১৮৫৮), পদ্মবতী (১৮৬০), কৃষ্ণকুমারি (১৮৬১), মায়াকানন (১৮৭৪) প্রভৃতি। অন্যদিকে, ‘ভদ্রার্জুন’ তারাচরণ শিকদার রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক। ‘শকুন্তলা’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান’ শকুন্তলম’ নাটকের বঙ্গানুবাদ এবং ‘রাবণ বধ’ কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার রচিত নাটক।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক শর্মিষ্ঠা। নাটকটি ১৮৫৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় । এটি মধসূদন রচিত ও প্রকাশিত প্রথম বাংলা গ্রন্থ ।
- পদ্মাবতী ১৮৬০ , কৃষ্ণকুমারী ১৮৬১ মধুসূদনের রচিত নাটক ।
- দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নীল দর্পণ নাটকটি ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ ।
জব সলুশন