কোনটি শুদ্ধ বানান?
Related Questions
বাক্যের ক্রিয়াকে কি উপায় বা কিসের দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তর যা পাওয়া যায় তাকে করণ কারক বলে। এখানে প্রশ্নটিই হচ্ছে - কি দ্বারা কাজ? উত্তরে হাতের দ্বারা কাজ। তাই 'হাতের' করণ কারক এবং শব্দের শেষে 'র' থাকায় তা ষষ্ঠী বিভক্তি।
ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্তৃকারক। বাক্যটিতে 'বুলবুলি' কর্তা হিসেবে খাওয়া কাজটি সম্পাদন করা তা কর্তৃকারক এবং শব্দের শেষে 'তে' থাকায় তা সপ্তমী বিভক্তি।
চতুর্থী তৎপুরুষ : ব্যাসবাক্যের মাঝে "জন্যে" "নিমিত্ত" আর বাক্যের প্রথম শব্দের শেষে "র" থাকবে তখন চতুর্থী। যেমন: বিয়ের জন্যে পাগল = বিয়েপাগল হজ্জের জন্যে যাত্রা = হজ্জযাত্রা বসতের নিমিত্ত বাড়ি = বসতবাড়ি
- সমাস প্রধানত ছয় প্রকার। যথাঃ দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, দ্বিগু এবং অব্যয়ীভাব সমাস।
- তবে দ্বিগু সমাসকে অনেক ব্যাকরণবিদ কর্মধারয় সমাসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আবার কেউ কেউ কর্মধারয়কে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ হিসেবে সমাস মূলত চারটি। যথা: দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি ও অব্যয়ীভাব সমাস।
এছাড়া আরও কিছু অপ্রধান সমাস আছে, যেমন: প্রাদি, নিত্য, অলুক, উপপদ ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিত, নবম - দশম শ্রেণি, (সংস্করণ ২০২১)
স্বরবর্ণ পড়ে থাকলে 'এ' কারের স্থানে 'অয়', ঐ - কারের স্থানে আয়, ও - কারের স্থানে অব, এবং ঐ - কারের স্থানে 'আব' হয়। ও + অ = অব + অ অর্থাৎ লো + অন = লবণ।
বাংলা ব্যাকরণে এমন কিছু সন্ধি রয়েছে যেগুলাে নিয়মবহির্ভূত, কিন্তু প্রচলিত। এদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলা হয়। মনীষা নিপাতনে সিদ্ধ। যেমন আ + চর্য = আশ্চর্য, বৃহৎ + প্রতি বৃহস্পতি; মনস + ঈষা = মনীষা; ষট + দশ = ষােড়শ ইত্যাদি।
জব সলুশন