'সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী' কাব্য কোন কাব্য অবলম্বনে রচিত?
ক) হিন্দি কাব্য পদমাবুৎ
খ) হিন্দি কাব্য মৈনাসত
গ) আলেফ লায়লা
ঘ) মৌলিক রচনা
Note : আরাকানরাজ শ্রীসুধর্মার (থিরি-থু-ধম্ম, ১৬২২-১৬৩৮) সমরসচিব আশরফ খানের পৃষ্ঠপোষকতা ও নির্দেশে দৌলত কাজী সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী কাব্য রচনা করেন। তিনি হিন্দি কবি মিঁয়া সাধনের মৈনাসৎ ও মোল্লা দাউদের চান্দাইন কাব্য অনুসরণ করেন বলে ধারণা করা হয়। কাব্যটির দুই-তৃতীয়াংশ রচনার পর কবির মৃত্যু হলে আলাওল বাকি অংশ সমাপ্ত করেন
Related Questions
ক) বাহরাম খান
খ) হায়াত মাহমুদ
গ) শেখ ফয়জুল্লাহ
ঘ) শেরবাজ
Note : কাশিমের লড়াই (কাব্য): কাজী শেরবাজ। হানিফার লড়াই (কাব্য): আব্দুল হাকিম।
ক) বাহরাম খান
খ) হায়াত মাহমুদ
গ) শেখ ফয়জুল্লাহ
ঘ) শেরবাজ
Note : ‘জয়নাবের চৌতিশা’-র বিষয় মহরম- এর মর্মান্তিক ঘটনা।
ক) আব্দুল হাকিম
খ) আলাওল
গ) নওয়াজিস খান
ঘ) দৌলত কাজী
Note : গুলে বকাওলী মধ্যযুগের রোমান্টিক প্রণয়কাব্যের একটি ধারা। সতেরো শতকের কবি নওয়াজিস খান প্রথম গুলে বকাওলী কাব্য রচনা করেন। রাজপুত্র তাজুলমুলকের সঙ্গে পরীকন্যা বকাওলীর প্রেম নিয়ে এর আখ্যান নির্মিত। কাহিনীতে দুঃসাহসিক অভিযাত্রাসহ নানা অলৌকিক ঘটনা আছে। মধ্য ভারত এ কাহিনীর উৎসভূমি। সেখানে ‘বকাওলী’ নামে এক প্রকার ফুল পাওয়া যায়।
ক) আলাওল
খ) শাহ মুহম্মদ সগীর
গ) দৌলত কাজী
ঘ) সাবিরিদ খান
Note : বিদ্যাসুন্দর ষোড়শ শতাব্ধীর গোড়ার দিকে কবি সাবিরিদ খান রচিত একটি রোমান্টিক প্রণয়কাব্য। বিদ্যাসুন্দর কাব্যের কাহিনী কালিকামঙ্গলের অন্তর্গত এবং রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র সহ অনেক কবি একই কাহিনী ভিত্তিক কাব্যের রূপ দিয়েছেন। সাবিরিদ খানের কাব্যের কাহিনীর সাথে দেবী কালিকার বিশেষ কোন সম্পর্ক নেই। কাব্যরস সৃষ্টি ব্যাতীত এর অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। কবি রোমান্স হিসেবেই কাব্যটি রচনা করেছিলেন। কবি তার কাব্য কে নাটগীত বলে উল্লেখ করেছেন।
ক) আদিযুগের
খ) মধ্যযুগের
গ) অন্তমধ্যযুগের
ঘ) আধুনিক যুগের
Note : মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিগণের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান। এই শ্রেণির কাব্য মধ্যযুগের সাহিত্যে বিশিষ্ট স্থান জুড়ে আছে।ফারসি বা হিন্দি সাহিত্যের উৎস থেকে উপকরণ নিয়ে রচিত প্রণয় কাব্যগুলোতে প্রথমবারের মত মানবীয় বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে।মধ্যযুগের কাব্যের ইতিহাসে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর আধিপত্য ছিল,কোথাও কোথাও লৌকিক ও সামাজিক জীবনের ছায়াপাত ঘটলেও দেবদেবীর প্রাধান্যে তাতে মানবীয় অনুভূতির প্রকাশ স্পষ্ট হয়ে উঠেনি।এই শ্রেণির কাব্যে মানব-মানবীর প্রেম কাহিনি রূপায়িত হয়ে গতানুগতিক সাহিত্যের ধারায় ব্যতিক্রমের সৃষ্টি করেছে।মুসলমান কবিগণ হিন্দুধর্মাচারের পরিবেশের বাহিরে থেকে মানবিক কাব্য রচনায় অভিনবত্ব দেখান।
ক) আলাওল
খ) ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর
গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ) শেখ ফজলল করিম
Note : রায়গুনাকর ভারতচন্দ্র আঠারো শতকের বাঙালি কবি। তাঁর জন্ম আনুমানিক ১৭১২ সালে, বর্ধমানের পাণ্ডুয়া গ্রামে। পিতার নাম নরেন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি ছিলেন নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার সভাকবি। রাজা তাঁকে ‘রায়গুনাকর’ উপাধি প্রদান করেন। তাঁর বিখ্যাত কাব্যের নাম অন্নদামঙ্গল কাব্য। এর তিনটি ভাগ হলঃ ‘অন্নদামঙ্গল’, ‘বিদ্যাসুন্দর’ এবং ‘ভবানন্দ-মানসিংহ কাহিনী’। বাংলা ভাষার বেশকিছু প্রচলিত বাক্য বা প্রবাদ ভারতচন্দ্রের রচনা। যেমনঃ আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন, নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়
জব সলুশন