স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রথম কোথা থেকে প্রচার শুরু করে?
ক) কুষ্টিয়া
খ) মেহেরপুর
গ) বেনাপোল
ঘ) কালুরঘাট
Note : ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ মধ্য রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ঢাকা শহরের কয়েক হাজার নিরস্ত্র বাঙালি নিধন করে এবং একই সাথে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা এবং একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা প্রদান করে যান। বার্তাটি ঢাকা ইপিআর ওয়ারলেস স্টেশান থেকে সিলিমপুর ওয়ারলেস স্টেশানের ইঞ্জিনিয়ার গোলাম রব্বানী ডাকুয়ার হাত দিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতেই। তার পরেই পাকিস্তানীরা ইপিআর ওয়ারলেস ধ্বংস করে দেয়। বিস্তারিত বিবরণ লেখা আছে সাহিত্যিক মাহবুব উল আলমের "বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত" বইটিতে। ভোর হবার আগেই বার্তাটির শত শত কপি তৈরী হয়ে যায় একটা সাইক্লোষ্টাইল মেশিনের সাহায্যে। চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় মধ্য রাত থেকেই মাইকে বার্তাটি প্রচার করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ দুপুর বেলা চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিশান কেন্দ্র হতে প্রথমবারের মত স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ঐ বার্তা পাঠ করেন।
Related Questions
ক) ঢাকায়
খ) লাহোরে
গ) করাচিতে
ঘ) কলকাতায়
Note : ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলসমূহের একটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এ সম্মেলনেই শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবী পেশ করেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসনের পরিপূর্ণ রূপরেখা উল্লেখিত হয়েছিল। শেখ মুজিব এই দাবীকে "আমাদের বাঁচার দাবী" শিরোনামে প্রচার করেছিলেন। এই দাবীর মূল বিষয় ছিল একটি দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত পাকিস্তানী ফেডারেশনে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসন। এই দাবী সম্মেলনের উদ্যোক্তারা প্রত্যাখান করেন এবং শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ কারণে তিনি উক্ত সম্মেলন বর্জন করে পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসেন। মার্চ মাসের এক তারিখে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনের পর তিনি ছয় দফার পক্ষে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় পুরো দেশই ভ্রমণ করেন। এই ভ্রমণের সময় তিনি সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকায় বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে বন্দী হন। বছরের প্রথম চতুর্থাংশেই তাকে আটবার আটক করা হয়েছিল।
ক) নাটোর
খ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ
গ) জয়পুরহাট
ঘ) নওগাঁ
Note : ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর (জন্ম: ৭ মার্চ, ১৯৪৯ - মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ক) খন্দকার মোশতাক আহম্মদ
খ) তাজউদ্দীন আহমদ
গ) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
ঘ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
Note : মোঃ মনসুর আলী (জানুয়ারি ১৬, ১৯১৯ - নভেম্বর ৩, ১৯৭৫) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন ক্যাপ্টেন ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ফলে নিহত চার জাতীয় নেতার মধ্যে তিনিও একজন।
ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
খ) জেনারেল এম.এ জি ওসমানী
গ) কর্নেল শফিউল্লাহ
ঘ) মেজর জিয়াউর রহমান
Note : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক--বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ∎বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি--বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ∎বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক --বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ∎তিনি স্বধীনতার ঘোষণা দেন--১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে (ওয়ারলেসের মাধ্যমে), তারপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ∎হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হন-- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।(২০০৪ সালে বিবিসি'র বাংলা রেডিও জরিপে)
ক) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মদিন
খ) শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের জন্মদিন
গ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস
ঘ) মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যু দিবস
ক) ডব্লিউ. এইচ. অডারল্যান্ড
খ) গিনেসবার্গ
গ) রবি শংকর
ঘ) জর্জ হারিসন
Note : ১৯৭১ সালের ১৯ই ডিসেম্বর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের মধ্য দিয়ে বিজয় সুচনা হয় । হানাদারদের হটিয়ে দেয় মুক্তি সেনারা । বাংলাদেশের স্বাধীনতাটায় যতজন বিদেশি মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ডব্লিউ এইচ ওডারল্যান্ড যিনি বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা । যিনি সরাসরি যুদ্ধ করেছেন পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে ।১৯১৭ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে জন্ম এই বিদেশি যোদ্ধার । বাটা জুতা কোম্পানী’র চাকুরি ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। সেই বাটা সু কোম্পানী’র প্রোডাকশান ম্যানেজারের চাকুরি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ১৯৭০ সালে। অল্প কয়েকদিনপর জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পান।১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকেছেন ওডারল্যান্ড। চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন অস্ট্রেলিয়া’র পার্থ নগরীতে। ১৮ই মে ২০০১ সালে মৃত্যবরন করেন এই যোদ্ধা । তিনি তার একমাত্র মেয়েকে বলেছিলেন " Bangladesh Mon amor"- বাংলাদেশ আমার ভালোবাসা।
জব সলুশন