মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র-
Related Questions
ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের অন্নদামঙ্গলের অন্তর্গত। দেবী পাঠনীকে বলে, আমাকে খেয়া পার করে দাও। পাঠনী রাজি হয়ে দেবীকে তার নৌকায় তুলে নেয়। কিন্তু ঈশ্বরী পাঠনী দেবিকে চিনতে পারে না। যখন দেখে দেবী যেখানে পা রেখেছেন সেখানটা স্বর্ণ হয়ে যাচ্ছে তখন পাঠনী বুঝতে পারে তিনি সাধারণ কোনো নারী নয়, মহাদেবি। যখন চিনতে পারে তখন দেবি তাকে বলে তুমি আমার কাছে কি চাও। তখন পাঠনী তার ছেলে মেয়ের জন্য ঐ প্রার্থনা করে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ - ৪ জানুয়ারি ১৯৯৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তিনি একজন স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন। দুইটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন এই নিয়ে তার রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশী লেখক। তাকে সমাজবাস্তবতার অনন্যসাধারণ রূপকার বলা হয়েছে। ছোটগল্প সংকলন: অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬) খোঁয়ারি (১৯৮২) দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫) দোজখের ওম (১৯৮৯) জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল (১৯৯৭) প্রবন্ধ সংকলন: সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু (১৯৯৬)
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত(১৯০১ - ১৯৬০ খ্রি.) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি। তিনি অনেক কবিতা ও গদ্য রচনা করলেও কোনো উপন্যাস রচনা করেননি। কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ - ১৯৭৬ খ্রি.) রচিত উপন্যাস হলো বাঁধনহহারা (১৯২৭) , মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০) ও কুহেলিকা (১৯৩১) । পল্লীকবি জসীমউদ্দীন (১৯০৩ - ১৯৭৬খ্রি.) রচিত উপন্যাস হলো বোবা কাহিনী (১৯৬৪) । কবি ও কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮ - ১৯৭৪ খ্রি.) রচিত উপন্যাস হলো সাড়া (১৯৩০) সানন্দা (১৯৩৩) ,নির্জন স্বাক্ষর (১৯৫১), তিথিডোর (১৯৫২), নীলাঞ্জনের খাতা (১৯৬০) ইত্যাদি।
শাহ মুহাম্মদ সগীর আনুমানিক ১৩ - ১৪ শতকের কবি। বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে তিনিই প্রাচীনতম। তিনি গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ এর রাজত্বকালে (১৩৮৯ - ১৪১১ খ্রিষ্টাব্দে) ইউসুফ - জোলেখা কাব্য রচনা করেন। কবি ছিলেন গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজকর্মচারী।
'চাঁদ সওদাগর' বাংলা মনসামঙ্গল কাব্যধারার চরিত্র।
মনসামঙ্গল বা পদ্মাপু্রাণ মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্য ধারার অন্যতম প্রধান কাব্য। এই ধারার অপর দুই প্রধান কাব্য চণ্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল কাব্যের তুলনায় মনসামঙ্গল প্রাচীনতর।
মনসামঙ্গল একটি আখ্যানকাব্য। এই কাব্যের প্রধান আখ্যানটিও আবর্তিত হয়েছে মর্ত্যলোকে মনসার নিজ পূজা প্রচারের প্রয়াসকে কেন্দ্র করে। কাব্যের মূল উপজীব্য চাঁদ সদাগরের উপর দেবী মনসার অত্যাচার, চাঁদের পুত্র লখিন্দরের সর্পাঘাতে মৃত্যু ও পুত্রবধূ বেহুলার আত্মত্যাগের উপাখ্যান।
এই কাব্যে সেযুগের হিন্দু বাঙালি সমাজের সমাজব্যবস্থা, অর্থনীতি, আচার - অনুষ্ঠান ইত্যাদি সম্পর্কে নানা অনুপূঙ্খ বর্ণনা পাওয়া যায়। চাঁদ সদাগর শুধুমাত্র এই কাব্যেরই নয়, বরং সমগ্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বলিষ্ঠ চরিত্র; বেহুলা - লখিন্দরের করুণ উপাখ্যানটিও তার মানবিক আবেদনের কারণে আজও বাঙালি সমাজে জনপ্রিয়।
জব সলুশন