বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় কাকে?
ওয়ারেন হেস্টিংস এর অনুরোধে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড বাংলা ব্যাকরণের বই লিখার পর ছাপার যন্ত্র বা বাংলা মুদ্রণ হরফ না থাকায় হেস্টিংস তাঁর অধীনস্ত কর্মচারী চার্লস উইলকিন্সকে হরফ তৈরির নির্দেশ দেন ।উইলকিন্স পরে পঞ্চানন কর্মকারের সহায়তায় বাংলা মুদ্রণ হরফ তৈরি করেন।
- ১৭৭৮ সালে তিনি হুগলিতে প্রথম বাংলা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং নিজেই বাংলা অক্ষরের নকশা তৈরি করেন বলে তাঁকে বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক বলা হয় ।
- তবে উপমহাদেশের প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় (পর্তুগিজ ভাষার মুদ্রণযন্ত্র) ১৪৯৮ সালে।
- বাংলাদেশের প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় রংপুরে ১৮৪৭ সালে । এর নাম 'বার্ত্তাবহ যন্ত্র' । ছাপাখানাটি থেকে প্রকাশিত হতো রংপুরের প্রথম সাময়িকপত্র 'রঙ্গপুর বার্ত্তাবহ' । পত্রিকাটির প্রকাশক ছিলেন শুরুচরণ রায় ।
- ঢাকায় ১৮৬০ সালে ‘ঢাকা প্রেস’ নামে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ছাপাখানা থেকে দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
Related Questions
উত্তরটি "পাঠান আমলে" সঠিক কারণ। এটি সেই শাসনামল যেখানে বাংলা লিপির স্থায়ী রূপ তৈরি এবং অক্ষরের গঠন গম্ভীরভাবে শুরু হয়েছিল। পাঠানরা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রভাব বিস্তার করার সময় বাংলা সাহিত্য এবং ভাষা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাদের শাসনের সময় বাংলা লিপি একটি নির্দিষ্ট গঠন নেয়, যা পরবর্তীতে বাংলা ভাষার আদর্শ রূপে পরিচিতি পায়।
বাংলা লিপির গঠন কাজ শুরু হয়েছিল সেন যুগে এবং স্থায়ীরূপ লাভ করে পাঠান যুগে। পঞ্চানন কর্মকার ও চালর্স উইলকিন্স এর কল্যানে বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছিল এবং প্রথম স্যার ন্যাথালিয়েন ব্রাসি হেলহেড এর "আ গ্রামার অব দ্য বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ" ব্যাকরণ প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা মুদ্রণ শিল্পের যাত্রা আরম্ভ হয়।
জব সলুশন