'এ পোশাকটি মানায়নি।' এই বাক্যটি ... উদাহরণ।
ক) কর্মবাচ্যের
খ) ভাববাচ্যের
গ) কর্মকর্তৃবাচ্যের
ঘ) কর্তৃবাচ্যের
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
এখানে 'পোশাকটি' হলো কর্ম, কিন্তু এটি এমনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে যেন এটিই ক্রিয়ার কর্তা। পোশাকটি কাউকে মানায়নি, কিন্তু বাক্যে পোশাককেই কর্তা হিসেবে দেখানো হয়েছে। এটি কর্মকর্তৃবাচ্যের একটি সুস্পষ্ট উদাহরণ।
Related Questions
ক) কর্তৃবাচ্য
খ) কর্মবাচ্য
গ) ভাববাচ্য
ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
Note : এখানে 'চাঁদ' হলো কর্ম, কিন্তু সে কর্তার ভূমিকা পালন করছে। চাঁদ নিজে নিজেকে দেখায় না, কেউ তাকে দেখে। যখন কর্মই কর্তার কাজ করে, তখন তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
ক) ভাববাচ্যের
খ) কর্তৃবাচ্যের
গ) কর্মকর্তৃবাচ্যের
ঘ) কর্মবাচ্যের
Note : এই বাক্যে 'বাঁশি' বস্তুটি নিজেই যেন কর্তা বা এজেন্টের কাজ করছে। যখন কোনো বাক্যের কর্ম এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যেন সেটিই কর্তা, তখন তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। এখানে বাঁশি নিজে বাজে না, কেউ বাজায়; কিন্তু বাক্যে বাঁশিকেই কর্তারূপে দেখানো হয়েছে।
ক) সে গ্রামে যাবে
খ) ছুটি হলে ঘণ্টা বাজে
গ) তাকে গ্রামে যেতে হবে
ঘ) আমার যাওয়া হবে না
Note : ভাববাচ্যে কর্তা সাধারণত ষষ্ঠী বা দ্বিতীয়া বিভক্তিযুক্ত হয়। 'আমার যাওয়া হবে না'—এই বাক্যে কর্তা 'আমি' ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত হয়ে 'আমার' পদে পরিণত হয়েছে এবং 'যাওয়া' ক্রিয়ার ভাবটিই প্রধান। এটি ভাববাচ্যের কর্তার সঠিক উদাহরণ।
ক) আমি আর গেলাম না
খ) এবার মাছ ধরা যাক
গ) আম বোধ হয় পেঁকেছে
ঘ) কুকুর লোকটিকে কামড়ালো
Note : 'এবার মাছ ধরা যাক'—এই বাক্যে কোনো নির্দিষ্ট কর্তা নেই এবং 'ধরা' ক্রিয়াটি সম্পন্ন করার প্রস্তাব বা ভাবটিই প্রধান। তাই এটি ভাববাচ্যের উদাহরণ। অন্য বাক্যগুলো কর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।
ক) কর্মবাচ্য
খ) ভাববাচ্য
গ) যৌগিক
ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
Note : বাক্যটিতে 'বের করা' ক্রিয়ার ভাব বা প্রয়োজনীয়তাকেই প্রধান করে দেখানো হয়েছে। এখানে কর্তা উহ্য এবং কাজটি করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাই এটি ভাববাচ্যের উদাহরণ। 'ডিঙি' কর্ম হলেও বাক্যের মূল ফোকাস কর্মের ওপর নয়, বরং ক্রিয়ার ওপর।
ক) কর্তৃবাচ্য
খ) ভাববাচ্য
গ) কর্মকর্তৃবাচ্য
ঘ) কর্মবাচ্য
Note : এই বাক্যে 'হাঁটা' ক্রিয়ার অর্থই প্রধান এবং কর্তা 'তুমি' (তোমাকে) গৌণ। ক্রিয়ার ভাবই যখন বাক্যে প্রধান হয়ে ওঠে, তখন সেটি ভাববাচ্য হয়। এখানে হাঁটার বাধ্যবাধকতা বোঝানো হচ্ছে, যা একটি ভাব।
জব সলুশন