নাট্যাচার্য' হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন কোন নাট্যকার ?
'নাট্যাচার্য' হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন নাট্যকার সেলিম আল - দীন । তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রারম্ভকালীন অধ্যাপক ও গ্রাম থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার রচিত নাট্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে সর্পবিষয়ক গল্প ও অন্যান্য (১৯৭৩) ; বাসন (১৯৮২); কেরামতমঙ্গল (১৯৮৫); চাকা (১৯৯০); যৈবতী কন্যার মন (১৯৯২), বনপাংশু (১৯৯১); হরগজ (১৯৯২) ; একটি মারমা রুপকথা (১৯৯৫) ; হাতহদাই (১৯৯৭) ইত্যাদি অন্যতম।
Related Questions
যৈবতী কন্যার মন সেলিম আল দীনের দ্বিতীয় কথানাট্য। হাওলাদার প্রকাশন থেকে এটি ২০১৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালে চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক নারগিস আক্তারের হাত ধরে এটি চলচ্চিত্রে রুপ নেয়। এটি মূলত সঙ্গীতধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। যৈবতী কন্যার মনের বর্ণনা এত সুন্দর যে প্রত্যেকে কল্পনার চোখে সে ছবি দেখতে পায়।
নাট্যকার সেলিম আল দীনের ব্যতিক্রমী নাটক 'কীত্তনখোলা'। গ্রামীণ মেলা কে কেন্দ্র করে নাটকটি রচিত। মেলার পরিবেশ রঙ্গ রস, আনন্দ - উল্লাস, কোলাহল, চিৎকার, যাত্রা, প্রাকৃতিক ঔষধের ক্যানভাস, ক্রেতা বিক্রেতাদের আচার - আচরণ ইত্যাদি নাটকে রূপায়িত হয়েছে।
সেলিম আল দীন নাটক রচনায় আঙ্গিক রূপায়ণে ও বিষয় নির্বাচনের নতুনত্বের পথিকৃৎ। তার উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে: জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, বাসন, চাকা, যৈবতী কন্যার মন, হরগজ ইত্যাদি।
বাংলা নাটকের ফর্ম ও ভাষা নিয়ে নিরীক্ষাধর্মী কাজ করেছেন নাট্যকার সেলিম আল দীন। তিনি বাংলা নাটকের বিষয়বস্তু নির্বাচনেও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দিয়েছেন। তার রচিত কয়েকটি নাটক : চাকা, ঘুম নেই, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, মুনতাসীর ফ্যান্টাসি, কেরামতমঙ্গল, কীত্তনখোলা, হাতহদাই, হরগজ।
সেলিম আল দীন (১৯৪৮ - ২০০৮) একজন নাট্যাচার্য। তিনি ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশে ‘গ্রাম থিয়েটার’ - এর প্রবর্তক।
জব সলুশন