ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আদিম উৎস কি?
আর্যদের আগমনের পূর্বে এদেশে অনার্য ভাষা - ভাষাী কোল, শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল, প্রভৃতি অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের বসবাসের ফলে আঞ্চলিক ভাষাগুলো এসেছে। যারা নৃতাত্বিক বিচারে অস্ট্রো - এশিয়াটিক গোষ্ঠীর অন্তর্গত।
Related Questions
কেন্তুম ভাষা (Kentum languages) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি শাখা।
- হিত্তিক (Hittite) ছিল একটি প্রাচীন আনাতোলিয়ান ভাষা, যা আনাতোলিয়ায় (আধুনিক তুরস্ক, যা এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত) ব্যবহৃত হত।
- তুখারিক (Tocharian) ছিল একটি ভাষা পরিবার যা তারিম বেসিনে (আধুনিক জিনজিয়াং, চীন, যা এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত) প্রচলিত ছিল।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শাখা ২টি এগুলো হলো কেন্তম ও শতম।
বাংলা ভাষা ইন্দো - ইউরোপীয় মূল ভাষার অন্তর্গত।
ইন্দো - ইউরোপীয় ভাষাসমূহ পৃথিবীর আদি ভাষা পরিবারের একটি। এই ভাষা পরিবারের অন্তর্গত ভাষা ও উপভাষাসমূহ বিশ্বের ৬টি মহাদেশে পাওয়া যায়। বেশির ভাগ ইন্দো - ইউরোপীয় ভাষা ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ায় বিবর্তন হয়। হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি, লাতিন, ফার্সি ও রুশ ছাড়াও বিশ্বের অনেক অনেক ভাষা এই পরিবারের অন্তর্গত। এথ্নোলগের মতে, বর্তমানে এই ভাষার ৪৪৫ টি জীবন্ত ভাষা সদস্য রয়েছে, যা একে বিশ্বের বৃহত্তম ভাষা পরিবারে পরিণত করেছে।
মানুষের মুখে উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনিকে ভাষা বলে।
ভাষার মূল উপাদান ধ্বনি। ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আবার ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা। মানুষের কন্ঠ নিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠন কে ভাষা বলে। গলনালি, মুখবিবর, কন্ঠ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, নাক ইত্যাদি বাক প্রত্যঙ্গকে বাকযন্ত্র বলে। ইশারা বা অঙ্গভঙ্গির সাহাযে মনের ভাব সম্পুর্ণ রূপে প্রকাশ পাই না। তাই এটি ভাষার অন্তর্ভুক্ত নয়।
জব সলুশন