বাংলা সাহিত্যে কখন গদ্যের সূচনা হয়?
ঊনিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলা ভাষার গদ্য সাহিত্য রচনা শুরু হয় ।
-এ সময়কে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
-আধুনিক যুগকে দুটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়-
-প্রথম পর্যায়ে ১৮০১ - ১৮৬০ পর্যন্ত,
-দ্বিতীয় পর্যায় ১৮৬১ থেকে সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত ।
Related Questions
অব্যয় পদ (যেমন এবং ও কিন্তু সুতরাং) এমন শব্দ যার কোনো রূপ পরিবর্তন হয় না। তাই এটি সাধু ও চলিত উভয় রীতিতেই অভিন্ন থাকে। অন্যদিকে ক্রিয়াপদ (যেমন- করিয়া/করে) এবং সর্বনাম পদ (যেমন- তাহার/তার) এর রূপ পরিবর্তিত হয়। তাই সঠিক উত্তরটি হলো অব্যয়।
সাধু রীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের দীর্ঘতর রূপের ব্যবহার (যেমন- ক্রিয়া: চলিতেছে; সর্বনাম: তাহার)। কিন্তু অব্যয় পদের কোনো রূপান্তর বা পরিবর্তন ঘটে না। তাই এর কোনো দীর্ঘরূপ হয় না। এটি উভয় রীতিতে একই থাকে।
সংস্কৃত ভাষা থেকে উৎপন্ন ভাষাকে সাধু ভাষা হিসেবে অভিহিত করা হয় । সাধুরীতি ব্যাকরণের নির্দিষ্ট ইয়ম অনুসরণ করে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত । এ রীতিতে সর্বনাম, ক্রিয়া ও অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহার করা হয় । যেমনঃ আসিয়া (সাধু) > এসে (চলিত); তাহাকে (সাধু) > তাকে (চলিত); অপেক্ষা(সাধু) > চেয়ে (চলিত) ।
সাধু ভাষা: বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দ সম্পদ, ক্রিয়া ও সর্বনামের পূর্ণরূপ এবং কিছু ব্যাকরণসিদ্ধ উপাদান ব্যবহার করে ইংরেজি গদ্য সাহিত্যের পদবিন্যাস প্রণালির অনুকরণে পরিকল্পিত যে নতুন সর্বজনীন গদ্যরীতি বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তিত হয়, তাকে সাধু ভাষা বলে।
চলিত ভাষা: তদ্ভব শব্দ, ক্রিয়া ও সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ এবং লেখকের মনোভাব অনুযায়ী পদবিন্যাস প্রণালির ব্যবহারসহ যে স্বচ্ছন্দ, চটুল ও সর্বজনীন সাহিত্যিক গদ্যরীতি মুখের ভাষার আদলে গড়ে উঠেছে, তার নাম চলিত ভাষা।
জব সলুশন