মাৎস্যন্যায় সম্পর্কে জানার উৎস -
ক) তারনাথের বিবরণ
খ) সন্ধ্যাকর নন্দীর বিবরণ
গ) হর্ষচরিত
ঘ) আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
পাল রাজা রামপালের সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দীর 'রামচরিতম' এবং অন্যান্য পাল তাম্রশাসনে মাৎস্যন্যায় যুগের বিশৃঙ্খল অবস্থার বর্ণনা পাওয়া যায় এবং গোপালকে নির্বাচিত করার কথা উল্লেখ আছে।
Related Questions
ক) খলজি শাসন আমলে
খ) সেন শাসন আমলে
গ) মুগল শাসন আমলে
ঘ) পাল তাম্র শাসন আমলে
Note : পাল শাসনের ঠিক পূর্ববর্তী সময়ে মাৎস্যন্যায় দেখা যায়। পাল তাম্রশাসনে এই অরাজকতার বর্ণনা পাওয়া যায়, তাই এটিই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক উত্তর।
ক) মৎস্যময় বাংলাদেশ
খ) রাজনৈতিক পরিস্থিতি
গ) মৎস্যময় ভারত
ঘ) প্রাকৃতিক পরিস্থিতি
Note : এটি কোনো প্রাকৃতিক বা মৎস্য সংক্রান্ত অবস্থা নয়, বরং শশাঙ্ক-পরবর্তী বাংলায় সৃষ্ট চরম রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অরাজকতা এবং কেন্দ্রীয় শাসনের অনুপস্থিতিকে নির্দেশ করে।
ক) ৫ম-৬ষ্ঠ শতক
খ) ৬ষ্ঠ-৭ম শতক
গ) ৭ম-৮ম শতক
ঘ) ৮ম-৯ম শতক
Note : রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর পর থেকে পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত (আনুমানিক ৬৫০-৭৫০ খ্রি.), অর্থাৎ ৭ম-৮ম শতকের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলায় কোনো কেন্দ্রীয় শাসক ছিল না। এই একশত বছরের অরাজক সময়কালকেই 'মাৎস্যন্যায়' বলা হয়।
ক) উত্তর বাংলায়
খ) দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলায়
গ) পূর্ব বাংলায়
ঘ) দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায়
Note : ৭ম শতকে খড়গ বংশের রাজারা প্রাচীন সমতট অঞ্চলে (বর্তমান কুমিল্লা-নোয়াখালী) অর্থাৎ বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে শাসন করতেন।
ক) হর্ষবর্ধন
খ) সন্ধ্যাকর নন্দী
গ) কালিদাস
ঘ) ধোয়ী
Note : এই শ্লেষাত্মক (দ্ব্যর্থবোধক) কাব্যটি রচনা করেন পাল রাজা রামপালের সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দী। এতে যুগপৎ রামায়ণের রাম ও রাজা রামপালের প্রশংসা করা হয়েছে।
ক) গীতগোবিন্দ
খ) মনসামঙ্গল
গ) চণ্ডীমঙ্গল
ঘ) রামচরিতম
Note : 'রামচরিতম' কাব্যটি পাল রাজা রামপালের সভাকবি সন্ধ্যাকর নন্দী রচনা করেন। এতে একাধারে রামায়ণের রাম এবং রাজা রামপালের জীবনকাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। গীতগোবিন্দ সেন যুগের রচনা।
জব সলুশন