কে বাংলাকে 'দোযখপুর নিয়ামত' বলে অভিহিত করেন?
ক) ইবনে বতুতা
খ) কলন্দর শাহ
গ) হিউয়েন সাং
ঘ) মা-হুয়ান
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
ইবনে বতুতা বাংলার জলবায়ু ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে একে 'দোযখ-পুর-আজ-নেয়ামত' বা 'ধনসম্পদপূর্ণ নরক' (a hell full of blessings) বলে অভিহিত করেন। কারণ এখানকার প্রতিকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি ধনসম্পদের প্রাচুর্যও ছিল।
Related Questions
ক) আনন্দ বিহার
খ) নালন্দা বিহার
গ) গোসিপো বিহার
ঘ) সোমপুর বিহার
Note : বাঙালি পণ্ডিত শীলভদ্র ছিলেন প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র নালন্দা মহাবিহারের (বর্তমানে ভারতের বিহার রাজ্যে অবস্থিত) প্রধান আচার্য বা অধ্যক্ষ। তার খ্যাতি এতটাই ছিল যে হিউয়েন সাং-এর মতো পরিব্রাজকরা তার কাছে জ্ঞানার্জনের জন্য আসতেন।
ক) রামচরিত
খ) চণ্ডীমঙ্গল
গ) ঐতরেয় আরণ্যক
ঘ) করতোয়া মাহাত্যম
Note : খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৮০০ অব্দে রচিত বৈদিক সাহিত্য 'ঐতরেয় আরণ্যক'-এ সর্বপ্রথম 'বঙ্গ' নামক একটি জনগোষ্ঠীর উল্লেখ পাওয়া যায়। এটিই 'বঙ্গ' নামের সবচেয়ে প্রাচীন লিখিত নিদর্শন।
ক) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
খ) অশোক
গ) ধর্মপাল
ঘ) সমুদ্রগুপ্ত
Note : মেগাস্থিনিস গ্রিক সেনাপতি সেলুকাস কর্তৃক প্রেরিত হয়ে পাটলিপুত্রে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভায় দূত হিসেবে আগমন করেন।
ক) টোডা
খ) দ্রাবিড়
গ) সুর
ঘ) আফ্রিদি
Note : দক্ষিণ ভারতের আদি অধবাসীদের 'দ্রাবিড়' নামে অভিহিত করা হয়। সিন্ধু সভ্যতা দ্রাবিড়দের দ্বারা নির্মিত বলে মনে করা হয়। টোডা একটি নির্দিষ্ট উপজাতি, সুর ও আফ্রিদি এই অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত নয়।
ক) কলম্বাস
খ) ইবনে বতুতা
গ) কালিদাস
ঘ) বখতিয়ার খলজি
Note : তিনি তার ভ্রমণকাহিনীতে 'বাঙ্গালা' শব্দটি ব্যবহার করেছেন। যদিও এর আগে শামস-ই-সিরাজ আফিফ-এর 'তারিখ-ই-ফিরুজশাহী' গ্রন্থে 'বাঙ্গালা' শব্দটি ব্যবহৃত হয়, কিন্তু পর্যটক হিসেবে ইবনে বতুতার নাম উল্লেখযোগ্য।
ক) দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
খ) আলাউদ্দীন হোসেন শাহ
গ) প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
ঘ) হর্ষবর্ধন
Note : ফা-হিয়েন গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে (আনুমানিক ৩৭৫-৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ) ভারতবর্ষে এসেছিলেন এবং তার ভ্রমণকাহিনীতে তৎকালীন সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থার বিবরণ দিয়েছেন।
জব সলুশন