বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে-
মাগধী প্রাকৃত থেকে বাংলা ভাষার উত্তপত্তি ঘটেছে এ মতবাদ দিয়েছেন স্যার জর্জ গ্রিয়ার্সন। ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এ মত সমর্থন করেছেন। কিন্তু ড. মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ভিন্ন মত পোষণ করে বলেন- গৌড়ীয় প্রাকৃত হতে বাংলা ভাষার উদ্ভব।
বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে একথায়-
ইন্দো ইউরোপীয় → শতম → ইন্দো আর্য → ভারতীয় → প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা → প্রাচীন কথ্য ভারতীয় আর্যভাষা → গৌড়ী প্রাকৃত → গৌড় অপভ্রংশ → বঙ্গ কামরূপী → বাংলা ও অসমীয়।
Related Questions
বৈদিক ভাষা ভারতে আগত আর্য জাতির আদি ভাষা। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের দিকে আর্যরা ভারতবর্ষে আসা শুরু করেছিল। উত্তর - পশ্চিম ভারত দিয়ে এই আগত এই জনগোষ্ঠী খ্রিষ্টপূর্ব ১১০০ অব্দের দিকে বঙ্গদেশ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। খ্রিষ্ট - পূর্ব ১০০০ বৎসরের ভিতরে ভারতীয় ইন্দো - ইরানিয়ান ভাষার পরিবর্তন ঘটে।
প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা হলো বৈদিক বা ছান্দস, সংস্কৃত, বৌদ্ধ - সংস্কৃত।
আর্যদের আগমনের পূর্বে এদেশে অনার্য ভাষা - ভাষাী কোল, শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল, প্রভৃতি অন্ত্যজ সম্প্রদায়ের বসবাসের ফলে আঞ্চলিক ভাষাগুলো এসেছে। যারা নৃতাত্বিক বিচারে অস্ট্রো - এশিয়াটিক গোষ্ঠীর অন্তর্গত।
কেন্তুম ভাষা (Kentum languages) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি শাখা।
- হিত্তিক (Hittite) ছিল একটি প্রাচীন আনাতোলিয়ান ভাষা, যা আনাতোলিয়ায় (আধুনিক তুরস্ক, যা এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত) ব্যবহৃত হত।
- তুখারিক (Tocharian) ছিল একটি ভাষা পরিবার যা তারিম বেসিনে (আধুনিক জিনজিয়াং, চীন, যা এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত) প্রচলিত ছিল।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শাখা ২টি এগুলো হলো কেন্তম ও শতম।
জব সলুশন