বিষয়ঃ বাংলা

301. ‘চতুষ্পদ’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি ?

ক) চতুর+পদ
খ) চতুর্ষ+পদ
গ) চতু+ পদ
ঘ) চতুঃ+পদ

302. ‘চতুষ্পদ’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি ?

ক) চতুর+পদ
খ) চতুর্ষ+পদ
গ) চতু+ পদ
ঘ) চতুঃ+পদ

303.

চলিত রীতি প্রতিষ্ঠায় কোন পত্রিকার নাম স্মরণীয় ?

ক) সমকাল
খ) দিগদর্শন
গ) সন্দেশ
ঘ) সবুজপত্র
Note :

সবুজপত্র (১৯১৪) প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত বিশিষ্ট সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকাকে অবলম্বন করে চলিত রীতি বাংলা গদ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বঙ্গদর্শনও দিকদর্শন পত্রিকার সম্পাদক হলেন বঙ্কিমচন্দ্র ও জন ক্লার্ক মার্শম্যান।

304. বাংলা ভাষার কোন রীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণের অনুসারী

ক) সাধু রীতি
খ) চলিত রীতি
গ) কথ্য রীতি
ঘ) লেখ্য রীতি

305.

বাংলার আদি জনগোষ্ঠী কোন ভাষাভাষী ছিল?

ক) অস্ট্রিক
খ) দ্রাবিড়
গ) আর্য
ঘ) অনার্য
Note :

অস্ট্রিক জাতিকে নিষাদ জাতিগোষ্ঠী নামেও অভিহিত করা হয়। অস্ট্রিকদের আদি বাসস্থান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এখান থেকে তারা পূর্ব ভারত, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, শ্রীলঙ্কা এবং অন্যদিকে পাপুয়া নিউগিনি, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে অস্ট্রিক গোষ্ঠীর অন্যতম দুটি ভাষা মুণ্ডা ও খাসি।

306.

'সমুদ্র' শব্দের সমার্থক শব্দ কি?

ক) নীরদ
খ) উদধি
গ) মার্তন্ড
ঘ) অবনী
Note :

নীরদ অর্থ মেঘ,

মার্তন্ড অর্থ সূর্য,

অবনী অর্থ পৃথিবী।

সমুদ্র অর্থ উদধি, সাগর, রত্নাকর, জলধি, সিন্ধু, বারিধি, বারীশ, অর্ণব, অম্বুধি, পয়োধি, পারাবার, জলনিধি, নীলাম্বু, পাথার, পয়োনিধি, জলধর, অম্বুনিধি, তোয়নিধি, বারীশ, বারীন্দ্র।

307. দামিনী শব্দের অর্থ কি?

ক) মেঘ
খ) বিদ্যুৎ
গ) বৃষ্টি
ঘ) ঢেউ
Note : দামিনী শব্দের অর্থ বিদ্যুৎ। দামিনীর আরও কয়েকটি সমার্থক শব্দ - বিজলি, তড়িৎ, চপলা চঞ্চলা, চিকুর, দামিনী, ক্ষণপ্রভা।
রাত্রির সমার্থক শব্দ - রাত, বিভাবরী, যামিনী, রজনী, নিশা, শর্বরী।
ধরিত্রীর সমার্থক শব্দ - অবনী, ধরা, ধরণী, বসুন্ধরা, ভূ, মেদিনী, বসুধা, ভূবন, মহী, বিশ্ব, জগৎ, মর্ত্যলোক।

308. দামিনী শব্দের অর্থ কি?

ক) মেঘ
খ) বিদ্যুৎ
গ) বৃষ্টি
ঘ) ঢেউ
Note : দামিনী শব্দের অর্থ বিদ্যুৎ। দামিনীর আরও কয়েকটি সমার্থক শব্দ - বিজলি, তড়িৎ, চপলা চঞ্চলা, চিকুর, দামিনী, ক্ষণপ্রভা।
রাত্রির সমার্থক শব্দ - রাত, বিভাবরী, যামিনী, রজনী, নিশা, শর্বরী।
ধরিত্রীর সমার্থক শব্দ - অবনী, ধরা, ধরণী, বসুন্ধরা, ভূ, মেদিনী, বসুধা, ভূবন, মহী, বিশ্ব, জগৎ, মর্ত্যলোক।

309. Transitory means:

ক) temporary
খ) permanent
গ) transparent
ঘ) short lived

310. your conduct admits ----- no excuse .

ক) at
খ) on
গ) to
ঘ) of

311. ‘বনফুল' কার ছদ্মনাম?

ক) প্রমথ চৌধুরী
খ) বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
গ) যতীন্দ্রমোহন বাগচী
ঘ) মোহিতলাল মজুমদার
Note : বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় কৈশোর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের নাম লুকোতে তিনি বনফুল ছদ্মনামের আশ্রয় নেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময় মালঞ্চ পত্রিকায় একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে।

312. ৭ই মার্চের পটভূমিতে রচিত কবিতা-

ক) 'বাতাসে লাশের গন্ধ' - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
খ) 'স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো'- নির্মলেন্দু গুণ
গ) 'বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়'- শামসুর রাহমান
ঘ) 'আমার পরিচয়'- সৈয়দ শামসুল হক
Note : স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো, এটি নির্মলেন্দু গুণের একটি কবিতা। কিন্তু প্রচলিত অর্থে এটি কবিতা নয়, ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। কবি এই ভাষণকেই কবিতার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

313.

'নিশীথ রাতে বাজছে বাঁশি' বাক্যে 'নিশীথে' কোন পদ?

ক) বিশেষণের বিশেষণ
খ) বিশেষ্যের বিশেষণ
গ) বিশেষ্য
ঘ) বিশেষণ
Note :

নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষায়িত করে, অর্থাৎ অন্য কোন পদ সম্পর্কে কিছু বলে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন - বিশেষ্যের বিশেষণ : নীল আকাশ আর সবুজ মাঠের মাঝ দিয়ে একটি ছোট্ট পাখি উড়ে যাচ্ছে। সর্বনামের বিশেষণ : সে রূপবান ও গুণবান।

314.

বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন কে?

ক) অক্ষয় দত্ত
খ) ম্যার্শমান
গ) ব্রাসি হ্যালহেড
ঘ) রাজা রামমোহন রায়
Note :

১৮২৬ সালে রাজা রামমোহন রায় ইংরেজিতে বাংলা ব্যাকরণ লেখেন। এরপর তিনি স্কুল বুক সোসাইটির জন্য ঐ গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করে নাম দেন 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ ' যা প্রকাশ হয় ১৮৩৩ সালে। আর এ গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ।

315. সন্ধি ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?

ক) রূপতত্ত্ব
খ) ধ্বনিতত্ত্ব
গ) পদক্রম
ঘ) বাক্য প্রকরণ
Note : ”সন্ধি” ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশের আলোচ্য বিষয়। সব ভাষার ব্যাকরণের প্রধানত চারটি বিষয়ের আলোচনা হয় ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব এবং অর্থতত্ত্ব। সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশে আলোচিত হয়।

316. ‘আবির্ভাব' শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?

ক) অভাব
খ) তিরোভাব
গ) তিরোধান
ঘ) ভাবাবেগ

317. অপভ্রংশ কথাটি অর্থ কি?

ক) উন্নত
খ) বিবৃত
গ) সাধারণ
ঘ) বিকৃত
Note : অপভ্রংশ শব্দের বাংলা অর্থ মূল শব্দের বিকৃত বা অশুদ্ধ রূপ, প্রাকৃতের পরবর্তী এবং নব্যভারতীয় ভাষার পূর্ববর্তী রূপ, অপভাষা, বিকৃতি, বিকার, বিচ্যুতি। প্রাকৃত স্তরের পরের ভাষা। মূল শব্দের বিবর্তিত রূপ। বিকৃতি, অশুদ্ধি। বিচ্যুতি, স্খলন, স্বস্থান থেকে বিচলন। অপভ্রষ্ট বিকৃত, অশুদ্ধ। স্খলিত, পতিত।

318.

'পার হইয়া'-এর চলিতরূপ কোনটি?

ক) পার হয়ে
খ) পার হইয়ে
গ) পারি হয়ে
ঘ) পেরিয়ে
Note :

সাধুরীতি তে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ এক বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে। অন্যদিকে সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। যেমন:

সাধুরীতি - চলিত রীতি

তাহাকে(সর্বনাম) - তাকে

পার হইয়া( ক্রিয়া) - পেরিয়ে

319.

ব্যুৎপত্তিগতভাবে ব্যাকরণ শব্দের অর্থ হলো

ক) সংক্ষেপণ
খ) ভাবের বিনিময়
গ) বিশেষভাবে বিশ্লেষণ
ঘ) মিলন
Note :


'ব্যাকরণ ' শব্দের সঠিক অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।

ব্যাকরণ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ। শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় - বি + আ + কৃ + অন = ব্যাকরণ।

যে শাস্ত্রে কোনো ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠন প্রকৃতি ও স্বরূপের বিচার বিশ্লেষণ করা হয় এবং বিভিন্ন উপাদানের সম্পর্ক নির্ণয় ও প্রয়োগবিধি বিশদভাবে আলোচিত হয়, তাকে ব্যাকরণ বলে।

320. বাংলা ভাষার মূল উৎস কী?

ক) হিন্দি ভাষা
খ) উড়িয়া
গ) বৈদিক ভাষা
ঘ) অনার্য ভাষা
Note : বাংলা ভাষার মূল উৎস হচ্ছে প্রাকৃত ভাষা। প্রাকৃত ভাষা বলতে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে লোকমুখে প্রচলিত স্বাভাবিক ভাষাগুলোকে বোঝায়। প্রাকৃত ভাষাগুলো ইন্দো ইউরোপীয় পরিবারের ইন্দো আর্য শাখার প্রাচীন নিদর্শন।

321. বাগযন্ত্রের অংশ কোনটি?

ক) স্বরযন্ত্র
খ) ফুসফুস
গ) দাঁত
ঘ) উপরের সবকটি
Note : ধ্বনি উচ্চারণ করতে যেমন প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলোকে একত্রে বাগ্যন্ত্র বলে। মানবদেহের উপরিভাগে অবস্থিত ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোট পর্যন্ত ধ্বনি উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতিটি প্রত্যঙ্গই রাগযন্ত্রের বাগ্যসমূহ হলো। মূল অন্তর্ভুক্ত। আলভিত, অধিজিহ্বা, কোমল তালু, শক্ত তালু, ৬ষ্ঠ, নাসারন্ধ, নাসিকা শহর, মুখ, নিচের চোয়াল, গলবিনীয় হার, যন্ত্র, খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, ফুসফুস ।বাগ্‌যন্ত্রের প্রধান প্রত্যঙ্গটি হলো ফুসফুস।

322.

‘তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন” উক্তিটি কার?

ক) কাজী নজরুল ইসলাম
খ) বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়
গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ) ঈশ্বরবন্দ্র বিদ্যাসাগর
Note :

বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের (১৮৩৮ - ১৮৯৪) বিখ্যাত উপন্যাস 'কপালকুন্ডলা' (১৮৬৬) । উপন্যাসটিতে কিছু বিখ্যাত উক্তি আছে। যেমন - 'তুমি অধম' তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? 'পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ? ইত্যাদি।

323.

‘আমরা’ কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) দ্বন্দ্ব
খ) তৎপুরুষ
গ) কর্মধারয়
ঘ) অব্যয়ীভাব
Note :

'আমরা' শব্দটি একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস এর উদাহরণ।

সমাসের প্রকার:

একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস: এই সমাসে, দুই বা তার অধিক পদকে যুক্ত করে একটি নতুন শব্দ গঠন করা হয় যা সমাসের প্রথম অংশের মতোই অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ, 'আমরা' শব্দে 'আম' এবং 'রা' যুক্ত হয়ে একটি নতুন অর্থ বহন করে।

এছাড়া অন্যান্য সমাসের উদাহরণ:

তৎপুরুষ সমাস: যেমন 'আপনারাই'

কর্মধারায় সমাস: যেমন 'রসদ'

অব্যয়ীভাব সমাস: যেমন 'অনেক'

'আমরা' সমাসের মধ্যে এমনভাবে বিভক্ত করা যায় যে এটি একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

324.

‘চাঁদের হাট’-অর্থ কি?

ক) বন্ধুদের সমাগম
খ) আত্মীয় সমগম
গ) প্রিয়জন সমাগম
ঘ) গণ্যমান্যদের সমাগম
Note :

'চাঁদেরহাট' অর্থ আত্মীয় সমাগম।

অন্য অর্থে "আনন্দের প্রাচুর্য " - মুনীর চৌধুরী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, পৃ. ২০৩।

চাঁদের হাট (আত্মীয় সমাগম।): ছেলেমেয়ে, নাতি - নাতনী নিয়ে প্রিন্সিপ্যাল সাহেবের সংসার চাঁদের হাট।

325.

লিঙ্গ কত প্রকার ?

ক) ৬ প্রকার
খ) ৭ প্রকার
গ) ৪ প্রকার
ঘ) ৫ প্রকার
Note :

যে বিশেষ শব্দগুলো দ্বারা পুরুষ, নারী, জড়বস্তুকে আলাদা করা যায় তাকে লিঙ্গ বলে। লিঙ্গ চার প্রকার। যথা: ১. পুংলিঙ্গ, ২. স্ত্রীলিঙ্গ, ৩. ক্লীব লিঙ্গ, ৪. উভয়লিঙ্গ।

326.

লিঙ্গ কত প্রকার ?

ক) ৬ প্রকার
খ) ৭ প্রকার
গ) ৪ প্রকার
ঘ) ৫ প্রকার
Note :

যে বিশেষ শব্দগুলো দ্বারা পুরুষ, নারী, জড়বস্তুকে আলাদা করা যায় তাকে লিঙ্গ বলে। লিঙ্গ চার প্রকার। যথা: ১. পুংলিঙ্গ, ২. স্ত্রীলিঙ্গ, ৩. ক্লীব লিঙ্গ, ৪. উভয়লিঙ্গ।

327. ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’ -এখানে জল ও পাতা কোন কারক-বিভক্তি?

ক) কর্তায় প্রথমা
খ) কর্তায় সপ্তমী
গ) কর্তায় চতুর্থী
ঘ) কর্তায় তৃতীয়া
Note : জল পড়ে, পাতা নড়ে। এখানে জল কর্তায় শূণ্য কারক। কারণ, বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। ক্রিয়ার সঙ্গে কি বা কে বা কারা যোগ করে প্রশ্ন কলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা - ই কর্তৃকারক। প্রদত্ত বাক্যে, কি পড়ে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যাবে জল। তাই জল কর্তৃকারক। আর কোন বিভক্তি নেই তাই কর্তায় শূণ্য।

328.

মুসলিম নারী জাগরণের কবি কে?

ক) বেগম রোকেয়া
খ) সুফিয়া কামাল
গ) শামসুন্নাহার
ঘ) নীলিমা ইব্রাহিম
Note :

ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী, যিনি গণিতে এম এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন সমাজসেবী। বেগম রোকেয়া ছিলেন মুসলিম নারী জাগরণের কবি, সাহিত্যিক, সমাজসেবী ও শিক্ষাব্রতী। তিনি আজীবন মুসলমান নারীদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে কাজ করেছেন। তাকে বলা হয় মুসলিম নারী মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ । সামসুন্নাহার ছিলেন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ । তিনি বেগম রোকেয়ার সাথে নারী মুক্তি আন্দোলন সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।

329.

‘যাযাবর’-এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?

ক) সর্বজনীন
খ) স্থায়ী
গ) সার্বিক
ঘ) স্থির
Note :

‘যাযাবর’-এর বিপরীতার্থক শব্দ- স্থায়ী

330.

‘বিদ্যুৎ’ শব্দটির সমার্থক শব্দ কোনটি?

ক) ক্ষণপ্রভা
খ) দিবাকর
গ) প্রভাকর
ঘ) কুলিন
Note :

'বিদ্যুৎ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো ক্ষণপ্রভা।

প্রদত্ত বাক্যে 'বিদ্যুৎ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো ক্ষণপ্রভা। ক্ষণপ্রভা ছাড়া 'বিদ্যুৎ' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো - - বিজলী, তড়িৎ, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, শম্পা ইত্যাদি।

331.

‘আমরা’ কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) দ্বন্দ্ব
খ) তৎপুরুষ
গ) কর্মধারয়
ঘ) অব্যয়ীভাব
Note :

'আমরা' শব্দটি একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস এর উদাহরণ।

সমাসের প্রকার:

একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস: এই সমাসে, দুই বা তার অধিক পদকে যুক্ত করে একটি নতুন শব্দ গঠন করা হয় যা সমাসের প্রথম অংশের মতোই অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ, 'আমরা' শব্দে 'আম' এবং 'রা' যুক্ত হয়ে একটি নতুন অর্থ বহন করে।

এছাড়া অন্যান্য সমাসের উদাহরণ:

তৎপুরুষ সমাস: যেমন 'আপনারাই'

কর্মধারায় সমাস: যেমন 'রসদ'

অব্যয়ীভাব সমাস: যেমন 'অনেক'

'আমরা' সমাসের মধ্যে এমনভাবে বিভক্ত করা যায় যে এটি একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

 

332.

চাঁদের হাট বাগধারাটির অর্থ কী?

ক) বন্ধুদের সমাগম
খ) আত্মীয় সমাগম
গ) প্রিয়জন সমাগম
ঘ) গন্যমান্যদের আগমন
Note :

'চাঁদেরহাট' অর্থ আত্মীয় সমাগম।

অন্য অর্থে "আনন্দের প্রাচুর্য " - মুনীর চৌধুরী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, পৃ. ২০৩।

চাঁদের হাট (আত্মীয় সমাগম।): ছেলেমেয়ে, নাতি - নাতনী নিয়ে প্রিন্সিপ্যাল সাহেবের সংসার চাঁদের হাট।

333.

বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক কে ?

ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ) প্যারীচাঁদ মিত্র
ঘ) প্রমথ চৌধুরী
Note :

বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক ও বিদ্রুপাত্মক প্রাবন্ধিক হিসেবে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব প্রমথ চৌধুরী । তার ' তেল - নুন - লকড়ি (১৯০৬) , 'বীরবলের হালখাতা' (১৯১৬), 'নানাকথা' (১৯১৯) , 'আমাদের শিক্ষা' (১৯২০)' 'রায়তের কথা' (১৯২৬) , 'নানচর্চা' (১৯৩২), 'প্রবন্ধ সংগ্রহ' (১ম খণ্ড - ১৯৫২ ও ২য় খণ্ড - ১৯৫৩) ইত্যাদি গদ্যগ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ । কবিতা ও ছোটগল্পের রচিয়তা হিসেবে ও তিনি খ্যাত। 'সনেট পঞ্চাশৎ '(১৯১৩) ও ' পদচারণ' (১৯১৯) তার কাব্যগ্রন্থ। 'চার ইয়ারী কথা' (১৯১৬) আহুতি (১৯১৯) ,'নীল লোহিত ' ও 'গল্প সংগ্রহ ' (১৯৪১) তার গল্পগ্রন্থ।

334.

বাংলাদেশের প্রাচীন জাতি কোনটি ?

ক) . আর্য
খ) মোঙ্গল
গ) . পুণ্ড্র
ঘ) দ্রাবিড়
Note :

বাঙালি জাতির ইতিহাসকে আদি বা প্রাচীন, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগে ভাগ করা যায়। আগে এদেশের সভ্যতাকে অনেকেই অর্বাচিন বলে মনে করলেও বঙ্গদেশে চার হাজারেরো বেশি প্রাচীন তাম্রাশ্ম (chalcolithik) যুগের সভ্যতার নির্দশন পাওয়া গেছে যেখানে দ্রাবিড়, তিব্বতী-বর্মী ও অস্ট্রো-এশীয় নরসম্প্রদায়ের বাস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বঙ্গ বা বাংলা শব্দটির সঠিক বুৎপত্তি জানা নেই তবে অনেকে মনে করেন এই নামটি এসে থাকতে পারে দ্রাবিড় ভাষী বং নামক একটি গোষ্ঠী থেকে যারা এই অঞ্চলে আনুমানিক ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে বসবাস করত। আর এই দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীকেই বাংলাদেশের প্রাচীন জাতি বলা হয়।

335.

'ব্যাঙের সর্দি' বাগধারাটির অর্থ কী?

ক) অসম্ভব ঘটনা
খ) প্রতারণা
গ) সর্দি-কাশি
ঘ) রোগ বিশেষ
Note :

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা:    
ব্যাঙের সর্দি - অসম্ভব ঘটনা ;
ব্যাঙের আধুলি - সামান্য সম্পদ
বক ধার্মিক - ভণ্ড সাধু ;
বালির বাঁধ - অস্থায়ী বস্তু
বুদ্ধির ঢেঁকি - নিরেট মূর্খ
বাঁ হাতের ব্যাপার* -ঘুষ গ্রহণ
বাঁধা গৎ - নির্দিষ্ট আচরণ

336. 'মতৈক্য' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?

ক) মতঃ+ঐক
খ) মত+এক
গ) মত+ঐক্য
ঘ) মত+এক
Note : 'মতৈক্য' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ মত + ঐক্য। অ/আ এরপরে এ/ঐ থাকলে উভয়ে মিলে ঐ হয় এবং তা ‘অ/আ’ - র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।

337.

'স্রোতস্বিনী' শব্দের অর্থ কী?

ক) নদী
খ) সাগর
গ) পাহাড়
ঘ) সৌন্দর্য
Note :

নদী এর সমার্থক শব্দ স্রোতস্বিনী, প্রবাহিনী, তটিনী, গাঙ্গ ইত্যাদি।

338.

এক কথায় প্রকাশ করুন : যে নারীর হাসি সুন্দর' ।

ক) সুস্মিতা
খ) সুহাসিনী
গ) সুহাসি
ঘ) সুচিষ্মিতা
Note :

যে নারীর হাসি সুন্দর - সুস্মিতা।
যে নারী অন্যের নিন্দা করে না - অনসূয়া।
সরোবরে জন্ম যার - সরোজ।
যে নারী প্রিয় কথা বলে = প্রিয়ংবদা। 
যে নারী প্রিয় বাক্য বলে = প্রিয়ভাষী। 
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় = স্বয়ংবরা। 
যে নারী (মেয়ের) বিয়ে হয়নি = কুমারী। 
যে নারীর বিয়ে হয় না = অনূঢ়া। 
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে = নবোঢ়া। 
যে নারীর কোন সন্তান হয় না = বন্ধ্যা। 
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে = কাকবন্ধ্যা। 
যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা। 
যে নারীর স্বামী ও পুত্র মৃত = অবীরা। 
যে নারীর স্বামী ও পুত্র জীবিত = বীরা বা পুরন্ধ্রী। 
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে = বীরপ্রসূ। 
যে নারী বীর = বীরাঙ্গনা। 
যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল = অন্য পূর্বা। 
যে নারী অন্য কারও প্রতি আসক্ত হয়না = অনন্যা। 
যে নারী কখনো সূর্যকে দেখে নাই = অসূর্যম্পশ্যা। 
নারীর অসূয়া (হিংসা) নেই = অনসূয়া। 
যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা। 
যে নারীর হাসি কুটিলতাবর্জিত = শুচিস্মিতা।  
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে = প্রোষিতভর্তৃকা।

339.

বিদ্যাপতি কোথাকার কবি ছিলেন?

ক) নবদ্বীপের
খ) মিথিলার
গ) বৃন্দাবনের
ঘ) বর্ধমানের
Note :

বিদ্যাপতি ছিলেন মিথিলার রাজসভায় কবি। রাজা শিবসিংহ তাকে 'কবিকণ্ঠহার' উপাধিতে ভূষিত করেন। তার রচিত কয়েটি বইয়ের নাম - পুরুষ পরীক্ষা, কীর্তিলতা, গঙ্গাবাক্যাবলি, ভাবগত ইত্যাদি। কৃষ্ণনগর রাজসভার কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাকে এ উপাধি প্রদান করেন। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে - 'অন্নদামঙ্গল' আরাকান রাজসভার কবিদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলো : দৌলিত কাজী, মরদন, কোরেশী মাগন ঠাকুর , আলাওল।

340. ‘মতৈক্য’ শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি ?

ক) মতঃ + এক
খ) মতঃ + ঐক্য
গ) মত + এক
ঘ) মত + ঐক্য
Note : 'মতৈক্য' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ মত + ঐক্য। অ/আ এরপরে এ/ঐ থাকলে উভয়ে মিলে ঐ হয় এবং তা ‘অ/আ’ - র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।

341. বাংলায় যতি বা ছেদ চিহ্ন কয়টি ?

ক) ১০টি
খ) ১১টি
গ) ১২টি
ঘ) ১৩টি

342. ‘মতৈক্য’ শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি ?

ক) মতঃ + এক
খ) মতঃ + ঐক্য
গ) মত + এক
ঘ) মত + ঐক্য
Note : 'মতৈক্য' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ মত + ঐক্য। অ/আ এরপরে এ/ঐ থাকলে উভয়ে মিলে ঐ হয় এবং তা ‘অ/আ’ - র আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।

343. জল পড়ে , পাতা নড়ে___ ‘জল’ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি ?

ক) কর্তায় শূন্য
খ) অপাদানে শূন্য
গ) কর্মে শূন্য
ঘ) করণে শূন্য

344. কোন বাক্যটি শুদ্ধ ?

ক) দারিদ্র্য বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা
খ) দরিদ্র্য বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা
গ) দারিদ্র্যতা বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা
ঘ) দারিদ্র্যতা বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা

345. বক্তব্য ' এর প্রকৃতি প্রত্যয় কোনটি?

ক) √বক + তব্য
খ) √বক + অব্য
গ) √বচ + তব্য
ঘ) √বক্ত + ব্য

346.

বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ কোনটি ?

ক) ময়মনসিংহ
খ) সিলেট
গ) খুলনা
ঘ) রংপুর
Note :

আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ ময়মনসিংহ।

এর আয়তন ১০, ৬৬৯ বর্গকিলোমিটার।

সিলেটের আয়তন ১২, ৬৩৬ বর্গকিলোমিটার।

খুলনার আয়তন ২২, ২৮৪বর্গকিলোমিটার।

347. উক্তি- এর প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি ?

ক) বচ্ + ক্ত
খ) বচ্+ উক্তি
গ) √বচ্+ ক্তি
ঘ) বচ্+ তি

348.

‘বনস্পতি’ শব্দের সন্ধি- বিচ্ছেদ কোনটি ?

ক) বনঃ+ পতি
খ) বন্+পতি
গ) বনস+ পতি
ঘ) বন+পতি
Note :

ব্যাকরণের সাধারণ বা বিশেষ কোনো নিয়মানুসারেই যখন কোনো কর্ম ব্যাখ্যা করা যায় না, অথচ তা সংঘটিত হয়, তখন সেই ব্যতিক্রম বৈধতা দেয়ার নাম নিপাতনে সিদ্ধ। কতকগুলো সন্ধি নিপাতনে, সিদ্ধ হয়। যেমন: বন্ + পতি = বনস্পতি , পর + পর = পরস্পর , আ + চর্য = আশ্চর্য, বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি ইত্যাদি।

350. ‘"ভিখারিকে" ভিক্ষা দাও’ - কোন কারকে কোন বিভক্তি ?

ক) কর্মে ৪র্থী
খ) করণে ৪র্থী
গ) সম্প্রদানে ৪র্থী
ঘ) অপাদানে ৪র্থী

আমাদের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

BCS TARGET Playstore